ঢাকা, ১২ মে ২০২০
বাংলাদেশ জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেছেন, অর্থনীতিতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনতে প্রযুক্তিনির্ভর ব্যবসার মডেলগুলো আরো সম্প্রসারিত করতে হবে। বাংলাদেশের ব্রান্ডিংকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে আনন্দমেলা ডিজিটাল প্লাটফর্ম ইতিবাচক ভূমিকা রাখতে পারে। এসময় আনন্দমেলা ডিজিটাল প্লাটফর্মে পণ্য সরবরাহ ও যোগানের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি। এই অনলাইন বিক্রয় সেবা এসএমই খাতে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন স্পীকার।
ইউনাইটেড নেশনস ডেভেলপমেন্ট প্রোগ্রাম (ইউএনডিপি) ইন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে আজ মঙ্গলবার করোনাভাইরাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের জন্য অনলাইন বিক্রয় সেবা ‘আনন্দমেলা’ (www.anondomela.shop) এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্পীকার এসব কথা বলেন। এসময় ভিডিও কনফারেন্সিং এর মাধ্যমে অনলাইন বিক্রয় সেবা ‘আনন্দমেলা’-এর উদ্বোধন করেন স্পীকার।
ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী বলেন, করোনার প্রভাবে যখন সমগ্র বিশ্বের অর্থনীতিতে স্থবিরতা ও নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে এমনই একটি সংকটময় সময়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের পাশে সরকারের এটুআই প্রকল্পের সহায়তায় ইউএনডিপি আনন্দমেলা বিক্রয় কেন্দ্রের সূচনা করেছে- যা অর্থনীতিকে ঘুরে দাঁড়াতে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে। এক্ষেত্রে স্থবির ও অচলপ্রায় অর্থনীতির চাকা সচল হবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের সাথে বাংলাদেশের এক বৃহৎ জনগোষ্ঠী যুক্ত। এ উদ্যোগের ফলে হারানো মনোবল ফিরে পেয়ে শ্রেণীভুক্ত ঐ সকল জনগণ অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হবেন মর্মে আশা প্রকাশ করেন স্পীকার।
স্পীকার বলেন, দেশের অর্থনীতিকে সচল রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিভিন্ন খাতে প্রণোদনার পাশাপাশি ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পখাতেও ইতোমধ্যে বিশ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাগণ এই অনলাইন প্লাটফর্মে পণ্য বিক্রয়ের সুযোগ পাবে যা তাদের জীবন যাত্রায় আনবে ইতিবাচক পরিবর্তন। শুধু করোনা পরিস্থিতি কিংবা ঈদকে সামনে রেখে নয়, বরং স্বাভাবিক সকল সময়ে আনন্দমেলা প্লাটফর্মটি চলমান রাখার পরামর্শ দেন স্পীকার।
এমন একটি উদ্যোগ নেয়ার জন্য ইউএনডিপি বাংলাদেশ-কে ধন্যবাদ জানিয়ে স্পীকার বলেন, দেশের ক্রান্তিলগ্নে ডিজিটাল প্লাটফর্মকে কাজে লাগিয়ে এমন সময়োপযোগী উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। এসময় ইউএনডিপি বাংলাদেশ সহ আনন্দমেলার সাথে সংযুক্ত সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান স্পীকার।
ইউএনডিপি বাংলাদেশের জেন্ডার বিশেষজ্ঞ শারমিন ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী মিয়া সেপ্পো। এছাড়া, অনুষ্ঠানে সূচনা বক্তব্য রাখেন ইউএনডিপি বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর সুদীপ্ত মুখার্জী এবং আনন্দমেলার উপর প্রেজেন্টেশন পরিবেশন করেন এটুআই/ইউএনডিপি-র সলিউশন আর্কিটেক্ট স্পেশালিস্ট রেজওয়ানুল হক জামি। অনুষ্ঠানে ভোট অব থ্যাংকস প্রদান করেন এটুআই/ইউএনডিপি-র পলিসি অ্যাডভাইজর আনির চৌধুরী।