আইনজীবী তালিকাভূক্তির লিখিত পরীক্ষা স্কিপ করে ভাইভার মাধ্যমে তালিকাভুক্তির দাবী শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের। ঘোষিত নোটিশ অনুযায়ী চলতি মাসের ১৯ তারিখে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভূক্তির
লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে করোনা পরিস্থিতির দ্বিতীয় ঢেউ এর সংক্রমন বৃদ্ধির আশঙ্কা বিবেচনায় এবং তালিকাভূক্তিতে কালক্ষেপন রোধকল্পে এমসিকিউ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মৌখিক পরীক্ষার মাধ্যমে আইনজীবী হিসেবে তালিকাভুক্তির দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদ।
আজ শনিবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান।
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক এ কে মাহমুদ বলেন, ‘৫ মাস যৌক্তিক দাবি নিয়ে রাজপথে থাকলেও বার কাউন্সিল আমাদের বিষয়ে কোনো সমাধান দিতে পারেনি। বরং আমাদেরকে জিম্মি করে রেখেছে। শুধু তাই নয়, বার কাউন্সিল দুর্নীতির আখড়ায় পরিণত হয়েছে। একটি স্বেচ্ছাচারী প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে উঠেছে।’
এ কে মাহমুদ আরো বলেন, ‘ইতোমধ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে জেএসসি, এইচএসসি পরীক্ষাসহ বিসিএস ও অন্যান্য নিয়োগ পরীক্ষার ক্ষেত্রে অটোপ্রমোশন ও শিথিলতা আরোপ করা হয়েছে। এজন্য শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের মৌখিক পরীক্ষা মাধ্যমে আইনের পেশা প্রবেশের সুযোগ করে দিতে হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির সমন্বয়ক আনোয়ারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘মহামারি করোনার সময়ে পরীক্ষা নেওয়া আইনসঙ্গত নয়। তবু বার কাউন্সিল আইনের ব্যত্যয় ঘটিয়ে শিক্ষানবিশ আইনজীবীদের লিখিত পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে। তাই আগামী ১৯ ডিসেম্বরের লিখিত পরীক্ষা বাতিলের জন্য অনুরোধ করছি।’
আনোয়ারুল ইসলাম আরো বলেন, ‘এখন সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ। অথচ আমাদেরকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়ার জন্য এই লিখিত পরীক্ষার আয়োজন করা হয়েছে। আমরা ৭ হাজার শিক্ষানবিশ আইনজীবী এই লিখিত পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছি। তাই আমাদের লিখিত পরীক্ষা স্থগিত করে মেধা যাচাইয়ের মাধ্যমে ভার্চুয়ালে কঠিন মৌখিক পরীক্ষা নেওয়া হোক।’
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ সম্মিলিত শিক্ষানবিশ আইনজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ফজলে রাব্বি স্বরণের সভাপতিত্বে শিক্ষানবিশ আইনজীবী মোশাররফ পাভেল, সোহাগ রায়হান, আবু সাদাত সহ আরো অনেকে উপস্থিত ছিলেন।