• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৬শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
সেকাল থেকে একাল- ৪

সেকাল থেকে একাল -৪

প্রফেসর আনম আবদুস সোবহান

গুড় বাজারে এক হিসেবে কোনো বসতি ছিল না।ফলে আমার খেলার সাথির অভাব ছিল।এখানে পাশাপাশি তিনটি পরিবার।

আবদুল ওয়াজেদ নানার বাড়ি,আমাদের বাড়ি ও আব্বার মহুরী বোয়ালমারি রামকান্তপুরের মোতাহার হোসেন তালুকদারের বাস ভবন। আবদুল হালিম খোকা মামা,আবদুস সালাম বাদশা মামা,পরী খালা,ফাতেমা ফতু খালা প্রত্যেকেই আমার চেয়ে বড়। আর আমিনা বুলু (খালা)বেশি ছোট।

একমাত্র ফতু খালার সাথে বয়সের সামান্য পার্থক্য হেতু একটা সখ্যতা গড়ে উঠেছিল। মোতাহার হোসেন তালুকদারের কোনো সন্তান ছিল না। পরেও হয়নি। এই মহিলার বাসায় গেলে তিনি আমাকে নিয়ে কোট কেটে বাগ ছাগল খেলা খেলতেন। এই খেলাটা আজ আর আমি  মনে করতে পারি না।

এই সময়ে খোকা – বাদশা মামাদের এক মামা মীর ইসমাইল হোসেন গীরদা থেকে সাইকেল চালিয়ে আসতেন। অনেক দিন তাঁর সাথে তাঁর ছেলে আনু আসত এবং দুতিনদিন থেকে যেত। আনু আমার চেয়ে এক বছরের ছোট ছিল।

ফলে তার সাথে আমার সখ্যতা গড়ে উঠে।আনুর পুরো নাম মীর আনোয়ার হোসেন। এর পরে সুদীর্ঘ দিন আনুর সাথে আর দেখা সাক্ষাৎ নেই। আমি যখন রাজেন্দ্র কলেজে উপাধাক্ষ একদিন এক ভদ্রলোক এসে আমার সঙ্গে দেখা করেন।

পরিচয় দেয়, আমি আনোয়ার হোসেন আনু। আমার চিনতে দেরি হল না। অনেক গল্প হল পুরানো দিনের। এক সঙ্গে চা খেলাম। আমার বাসায় আসার কথা বলতে সম্মতি জানাল। এও জানলাম আনোয়ারের তিন মেয়ে আমার বাংলা বিভাগের ছাত্রি ছিল ও একটি এখনো আছে।

আমি বাংলা বিভাগে একটানা দশ বছর ছিলাম।প্রায়ই বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। প্রায় ছেলে মেয়েদের ই আমি চিনতাম ও নাম ধরে ডাকতাম। আমি আনোয়ারে প্রতিটি মেয়েকেই চিনতে পারলাম।

সব চেয়ে দুঃখ জনক ঘটনা হল, আনোয়ার আমার বাসায় আসার আগেই আকস্মিক ভাবে মৃত্য বরণ করে।এ খবর আমি মৃত্যুর বেশ কিছুদিন পরে জানতে পারি।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।