নারায়ণগঞ্জ, ১৪ নভেম্বর,২০২১ খ্রি.
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে বাংলাদেশ এখন বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল। ক্ষুধামুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তুলতে খাদ্য মজুত বাড়াতে এবং কৃষকের নায্য মূল্য নিশ্চিত করতে কাজ করেছে সরকার বলে জানিয়েছেন খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
আজ(রবিবার) নারায়নগঞ্জে সেন্ট্রাল স্টোরেজ ডিপো(সিএসডি) ক্যাম্পাসে রাইস সাইলো এবং প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, খাদ্য নিরাপত্তা ইতোমধ্যে নিশ্চিত হয়েছে, এখন পুষ্টিকর খাদ্য ভোক্তার কাছে পৌঁছে দেয়া সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। নারায়ণগঞ্জ রাইস সাইলো এবং কার্নেল ফ্যাক্টরি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
সারাদেশে খাদ্য গুদামগুলো ডিজিটালাইজড করা হচ্ছে। এর ফলে অ্যাপ এর মাধ্যমে খুব সহজেই কোথায় কোন গুদামে পণ্য ঢুকছে,বের হচ্ছে তা জানা সম্ভব হবে বলেও জানান খাদ্যমন্ত্রী।
নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোস্তাইন বিল্লাহ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, নারায়ণগঞ্জ -৪ আসনের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এবং খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন খাদ্য অধিদপ্তেরর মহাপরিচালক শেখ মুজিবর রহমান।
বস্ত্র ও পাট মন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী তাঁর বক্তৃতায় বলেন, সরকার কৃষকের কাছ থেকে ধান কিনে বলে কৃষক নায্যমূল্য পায়। দেশে যত বেশি সাইলো নির্মাণ হবে কৃষক তত বেশি লাভবান হবে। এসময় তিনি বলেন, কৃষক বান্ধব সরকার কৃষকের পাশেই থাকবে।
পরে খাদ্যমন্ত্রী নারায়ণগঞ্জ স্টীল রাইস সাইলো নির্মাণ কাজের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন।
উল্লেখ্য, নারায়ণগঞ্জ রাইস সাইলোর ধারণ ক্ষমতা ৪৮ হাজার মেট্রিক টন। প্রতিটি ৪০০০ মে: টন ক্ষমতার মোট ১২ টি সাইলো বিন রয়েছে। এ সমস্ত সাইলো বিনে কীটনাশক ব্যবহার ব্যতিরেকেই অত্যাধুনিক চিলার যন্ত্রের মাধ্যমে আদ্রতা ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে মজুদ চাল প্রায় ২ (দুই) বছর সংরক্ষণ করা যাবে। সড়ক ও নৌপথে এ সাইলোর সরবরাহ ও বিতরণ কার্যক্রম পরিচালিত হবে। প্রিমিক্স কার্নেল ফ্যাক্টরি স্থাপনের ফলে সামাজিক নিরাপত্তা বলয়ের আওতায় বিতরণকৃত চালের পুষ্টি বৃদ্ধি পাবে। জন্য কার্ণেল ফ্যাক্টরীও নির্মাণ করা হচ্ছে। কার্নেলে মানবদেহের অপরিহার্য ৬ টি মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট ভিটামিন এ, ভিটামিন বি১, ভিটামিন বি ১২, ফলিক এসিড, আয়রন (ফেরিক পাইরোফসফেট) এবং জিংক (জিংক অক্সাইড) ইত্যাদি বিতরণকৃত চালে ফর্টিফাইড করা হবে। ফলে সরকারি সামাজিক নিরাপত্তার বিভিন্ন কর্মসূচিতে ভালমানের ও পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল সরবরাহ নিশ্চিত হবে।