• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
৭দিনেও খোঁজ মেলেনি ফরিদপুর শেখ রাসেল শিশু কেন্দ্রের ‘হারিয়ে যাওয়া’ প্রতিবন্ধী শিশুটির

কে এম রুবেল, ফরিদপুর

শিশুটির বয়স আনুমানিক ১৫ বছর। নাম ইয়ামিন। ঠিকানা জানা যায়নি। সে মানসিক ভারসাম্যহীন এবং বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী। গত তিন মাস ধরে শিশুটি ফরিদপুর শহরের কমলাপুর মহল্লায় অবস্থিত শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র (বালক) এর নিবাসী ছিল।

শিশুটি গত সাতদিন ধরে নিখোঁজ। শারীরিক নানা সমস্যার কারনে গত ৭ জুলাই বুধবার বেলা ১১টার দিকে শিশুটিকে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক দেখাতে নিয়ে যান শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্যারামেডিক্স মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন। ওই হাসপাতাল থেকে হারিয়ে যায় শিশুটি।

ওইদিনই প্যারামেডিক্স মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ফরিদপুর কোতোয়ালী থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন। এরপর থেকে চলে গেছে সাত দিন। কিন্তু বাবা-মা-আত্মীয়-স্বজনদের খোঁজ না পাওয়া, ঠিকানা না জানা ওই শিশুটির কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি বুধবার পর্যন্ত।

তাঁর জিম্মা থেকে কিভাবে হারিয়ে গেল শিশুটি, জানতে চাইলে শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্রের প্যারামেডিক্স মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে শিশুটি অসুস্থ ছিল। এজন্য চিকিৎসক দেখানোর জন্য একটি ইজিবাইকে শিশুটিকে নিয়ে তিনি ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে পৌঁছানোর পর টিকিট কাটতে গিয়ে তিনি দেখতে পান কাউন্টারে অনেক ভিড়।

মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ভিড়ের কারনে তিনি শিশুটিকে এক জায়গায় বসিয়ে বলেন, ‘তুমি এখানে বস, আমি টিকিট কেটে নিয়ে আসি’। তিনি বলেন, টিকেট কেটে আসতে তার সব মিলিয়ে সাত/আট  মিনিট সময় লেগেছে। টিকিট কাটার পর তিনি শিশুটিকে যে জায়গায় বসিয়ে রেখে গিয়েছিলেন এসে দেখেন শিশুটি সেখানে নেই। খোঁজা খুঁজি করে শিশুটিকে না পেয়ে  কর্তৃপক্ষের নির্দেশে ওইদিনই তিনি থানায় জিডি করেন।

জেলা সমাজ সেবা অধিদপ্তর সুত্রে জানা গেছে, বিশ্বব্যাংকের আর্থিক (আইডিএস ক্রেডিট) সহায়তায় ২০০৯ সালে ডিজএ্যাবলিটি অ্যান্ড চিলড্রেন এ্যট রিক্স (ডিসিএআর) শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় ২০১৪ সালে ৬ থেকে অনূর্ধ ১৮ বছরের ফরিদপুরে বালক ও বালিকাদের জন্য পৃথক দুটি শেখ রাসেল শিশু প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসন কেন্দ্র স্থাপন করা হয়। প্রতিটি কেন্দ্রে ১০০ জন নিবাসির থাকা, খাওয়া, প্রশিক্ষণ ও পুনর্বাসনের সুযোগ রয়েছে। প্রতিটি শিশুকে দুই বছর পর্যন্ত প্রয়োজনীয় আশ্রয় ও প্রয়োজনীয় সেবা প্রদানের বিধান রয়েছে।

ওই কেন্দ্রের উপ-প্রকল্প পরিচালক সৈয়দা হাসিনা আক্তার বলেন, শিশুটি হারিয়ে যাওয়ার পর আমরা খুঁজছি। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে গত সাত দিনেও আমরা শিশুটিকে পাইনি। এটি আমাদের জন্য একটি দুঃখজনক ঘটনা। এ ব্যাপারে তদন্ত করে দোষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ফরিদপুর কোতয়ালী থানার পরিদর্শক বেলাল হোসেন বলেন, পুলিশের উদ্যোগে বিভিন্ন থানায় বার্তা পাঠানো হয়েছে। শিশুটিকে খুঁজে বের করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।