• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
কানাইপুর ইউপি’র আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর শাহাদাৎ বার্ষিকী পালিত

মোঃ ইনামুল হাসান মাসুম: ১৫ আগস্ট জাতীয় শোকের দিন। বাংলার আকাশ বাতাস নিসর্গ প্রকৃতিও অশ্রুসিক্ত হওয়ার দিন। কেননা পঁচাত্তরের এই দিনে আগস্ট আর শ্রাবণ মিলেমিশে একাকার হয়েছিল বঙ্গবন্ধুর রক্ত আর আকাশের মর্মছেঁড়া অশ্রুর প্লাবনে। পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সুবেহ সাদিকের সময় যখন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে নিজ বাসভবনে সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে বুলেটের বৃষ্টিতে ঘাতকরা ঝাঁঝরা করে দিয়েছিল, তখন যে বৃষ্টি ঝরছিল, তা যেন ছিল আকাশেরই অশ্রুপাত। ভেজা বাতাস কেঁদেছে সমগ্র বাংলায়। ঘাতকদের উদ্যত সঙ্গিনের সামনে ভীতসন্ত্রস্ত বাংলাদেশ বিহ্বল হয়ে পড়েছিল শোকে আর অভাবিত ঘটনার আকস্মিকতায়। অনির্বাণ সেই শোক এখনও বাংলায় নদীর স্রোতের মতো চির বহমান। কাল থেকে কালান্তরে জ্বলবে এ শোকের আগুন। ১৫ আগস্ট শোকার্দ্র বাণী পাঠের দিন, স্বাধীনতার স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী।

আজ ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুর ৪৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদ বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছেন। এরমধ্যে রয়েছে শোকর‌্যালি, পবিত্র কুরআন তেলাওয়াত, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন, আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা।

শোককে শক্তিতে পরিনত করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে নানা কর্মসুচির মধ্য দিয়ে পালিত হয়েছে বাঙালী জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম মৃত্যু বার্ষিকী। দিবসটি উপলক্ষে ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ ও কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের আয়োজনে শোকর‌্যালি, আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সহ উপস্থিতি সকলের মাঝে তবারক বিতরণ করা হয়।

জানা গিয়েছে, ১৫ আগষ্ট সোমবার সকাল ১০.৩০ টায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন ইউপি সেক্রেটারি ও দলীয় নেতাকর্মীগন এবং ইউনিয়ন পরিষদ মেম্বারগণ, ইউনিয়ন ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ, স্বেচ্ছাসেবীগন, গনমাধ্যমকর্মী সহ অন্যান্যরা। সকলের উপস্থিতিতে সেখানে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এছাড়া জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষে কানাইপুর ইউনিয়নের জনবান্ধব সফল চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় কানাইপুর বাজার সংলগ্ন মহাসড়কে তোরন নির্মাণ, ইউনিয়ন পরিষদ চত্বর ও কমপ্লেক্স ভবনে যুগোপযোগী দৃষ্টিনন্দন ব্যানার, ফেস্টুন সহ নানাবিধি কর্মসূচী বাস্তবায়ন করা হয়েছে।

চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন এর বাসভবন সম্মুখে শোক দিবস উপলক্ষে ব্যানার ফেস্টুন দ্বারা সুসজ্জিত করা হয়েছে ও রনকাইল ফকিরের বাজারে “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবু পাঠাগার” স্থাপন করা হয়েছে। এখানে পাওয়া যাবে বঙ্গবন্ধুর জীবনী সম্পর্কিত সকল বয়সীদের পাঠযোগ্য বইয়ের বিশাল সমাহার, যে বই থেকে বঙ্গবন্ধুর জিবন সম্পর্কে সঠিক রূপে জেনে উপকৃত হবে আগত সকল বয়সের মানুষেরা।

সকাল ৮টায় দলীয় কর্মসূচি হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের আয়োজনে আওয়ামীলীগ কার্যালয় থেকে একটি শোকর‌্যালি শহরের প্রধান সড়ক হয়ে অম্বিকা হলে এসে শেষ হয়। এ কার্যক্রমে কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন উপস্থিত থেকে পুস্পমাল্য অর্পণ করেন।

ইউপি চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন এর সভাপতিত্বে এবং ইউপি সদস্য রকিবুল আলম খাঁন এর সঞ্চালনায় জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভায় ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক রতন শিকদার নিতাই, ইউপি সদস্য বৃন্দ, ইউনিয়ন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং সাধারণগন সহ ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য রাখেন, এছাড়া চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন বক্তব্যে বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে তার পরিবার সহ হত্যা করে মনে করেছিল যে বাংলাদেশ আর মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে পারবে না। কিন্তু ঐ ঘাতকদল জানত না যে বঙ্গবন্ধু কন্যা আজকের আওয়ামীলীগ সভানেত্রী, আমাদের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা আছেন। আর আজ তারই হাত ধরে বাংলাদেশ বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাড়িয়েছে। যিনি কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন না। যার কাছে অন্যায়কারী ও অন্যায়ের প্রশ্রয়দাতা উভয়কেই শাস্তি দিয়ে থাকেন, সেই নেত্রী থাকতে কোন অপশক্তিই এদেশকে কোন প্রকার ক্ষতি করতে পারবে না তা আপনারা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছেন।

আগামীতে জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষ থেকে যে নির্দেশনা আসবে তা পালন করার মধ্য দিয়ে ডিজিটাল দেশ গড়তে আমরাও ভুমিকা রাখবো। আর সেই সাথে মাদক, সন্ত্রাস, সুদ-ঘুষ, চাদাবাজি মুক্ত সমাজ গড়তে কাজ করে যাবো। আলোচনা সভা শেষে শোক র‌্যালিটি পরিষদ থেকে পুনরায় চেয়ারম্যানের ব্যাক্তিগত কার্যালয়ে আসার পর দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। দোয়ায় ১৫ আগস্টে নিহত বঙ্গবন্ধু, তার পরিবার, জাতীয় চার নেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সহ সকলের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়।

বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস সম্পর্কে বঙ্গবন্ধু না থাকলে বাংলাদেশের জন্ম হতো না এবং এই মহান পুরুষকে তারা নির্মমভাবে স্ব-পরিবারে হত্যা করেছে তাদের প্রতি তীব্র ঘৃণা প্রকাশ করছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নতুন প্রজন্ম উজ্জীবিত হয়ে আগামীর পথ চলাকে সুগম করতে পারে এই লক্ষেই মুজিব বর্ষের নানাবিধ আয়োজন করা হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।