• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে আদালতের দৌলতে ক্রয়কৃত জমির দখল বুঝে পেলেন

নিরঞ্জন মিত্র ( নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃফরিদপুর সদরের কৈজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিল নালিয়া মাদ্রাসা বাজার সংলগ্ন আদালতের নির্দেশে অবৈধ দখলকৃত ১০ শতাংশ জমির দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

(১৫ নভেম্বর) সোমবার ফরিদপুর জেলা জজ আদালত কর্তৃক দায়রা জজ কোর্টের জেলা নাজির প্রণব কুমার চক্রবর্তীর নেতৃত্বে দুপুর ১২ টা থেকে
৫ টা পর্যন্ত এই উচ্ছেদ অভিযান করে দখল বুঝিয়ে দেওয়া হয়।

জানা যায়, দলিলকৃত দখল বিষয়ে ১০ শতাংশ জমি সুপ্রীম কোর্ট মামলা নং ১১৭৪/২০১৮ নং মামলায় ১৫ ই মার্চ ২০২১ তারিখে মোঃ মোমিন উদ্দীন শেখের পক্ষে রায় দেন।
দেওয়ানী জারী নং ৮/২০১২ জারীকৃত মামলার প্রেক্ষিতে জমির মালিকানা বুঝিয়ে দেয়ার লক্ষ্যে এই অভিযান চালানো হয়। উচ্ছেদকৃত জমি ওয়ারিশ মুলে জমিটি জোরপূর্বক ভাবে অবৈধভাবে দখল করে আসছিল বিবাদী কুদ্দুস শেখ।

এসময় উচ্ছেদ অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা দায়রা জজ কোর্টের জেলা নাজির প্রণব কুমার চক্রবর্তী, সার্ভেয়ার আব্দুস ছালাম, কোতয়ালী থানা উপ-পরিদর্শক (এসআই) শংকর সহ আইন শৃঙ্খলা বাহিনী।

জেলা দায়রা জজ কোর্টের জেলা নাজির প্রণব কুমার চক্রবর্তী বলেন, দীর্ঘ দশ বছর ধরে মোমিন উদ্দীন শেখ মামলা পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলো। জায়গাটা তার ক্রয় সম্পত্তির মালিক । জায়গাটার দখল বুঝিয়ে না পাওয়ায়। তিনি মামলা করে মামলায় ডিগ্রিপ্রাপ্ত হন। আর সেই জায়গার দখল বুঝিয়ে দেয়ার জন্য আদালত আমাকে নির্দেশ করে। আমি আমার দায়িত্ব পালন করছি।

মামলার বাদী মোমিন উদ্দীন শেখ জানান, কুদ্দুস শেখের নানী নয়তন নেছা ও মামা বারেক জমিটি সামাদের নিকট বিক্রি করে। সামাদ দখল বুঝে না পাওয়ায় জমিটি আমার নিকট বিক্রি করে। প্রভাবশালী মহলের সহায়তায় জমিটি জোরপূর্বক ভাবে দখল করে ঘর নির্মাণ করে দখল করে আসছিলো কুদ্দুস শেখ।
আমি দখল বুঝিয়ে পেতে আদালতের স্বরণাপন্ন হই। আদালত জমিটি অবৈধ দখলমুক্ত করে আমাকে দখল বুঝিয়ে দেয়।

মামলা সুত্রে জানা যায়, কৈজুরী ইউনিয়ন পশ্চিম বিল নালিয়া বাজার সংলগ্ন ৮৬ নং মঙ্গলকোট মৌজার সাবেক আরএস ৮১ নং খতিয়ানে ৩১৮৭ নং দাগের ৮ শতাংশ এবং ৩১৮৪/৩৮৫০ নং বাটা দাগে জমি ১২ শতাংশ। দুই দাগে মোট ২০ শতাংশ জমির মধ্যে ১০ শতাংশ জমি নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে বিরোধ চলছিলো। এই সম্পত্তির ক্রয়কৃত দাবিদার হিসাবে মোমিম উদ্দীন শেখ দখল বুঝিয়ে না পাওয়ায়। দির্ঘ দশ বছর তিনি মামলা পরিচালনা করার পরে, সুপ্রিম কোর্ট আদালত নথিপত্র পর্যালোচনা করে ক্রয়কৃত জমির মালিক মমিন উদ্দীন শেখের পক্ষে আদালত মালিকানা দখল বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

এছাড়া বিবাদী কুদ্দুস শেখ তার মায়ের ওয়ারিশ হিসাবে জমিটি ভোগ দখল করে বসবাস করে আসছিলো বলে দাবি। ওয়ারিশ হিসেবে আদালতে কাগজ পত্র পেশ করেন কুদ্দুস শেখ। কাগজ পত্র পর্যালোচনা করে আদালত আংশিক ওয়ারিশ প্রমাণিত হয়। এরই প্রেক্ষিতে বাদী মমিন উদ্দীন শেখ ক্রয়কৃত দলিল মুলে মালিকানা পক্ষে আদালত ১০ শতাং জমির রায় দেন।

এরপরেও বিবাদী কুদ্দুস শেখ জমির দখল ছাড়েননি। ফলে বিবাদী পক্ষের কাছ থেকে জমিটির দখল পাচ্ছিল না বাদী পক্ষ। দখল উচ্ছেদের জন্য দেওয়ানী জারী নং ৮/২০১২ জারী মামলায় আদালত অবৈধ দখল উচ্ছেদের জন্য কমিশনার কতৃক সার্ভে দ্বারা জায়গা নির্ধারিত করে বাদী মোঃ মোমিন উদ্দীন শেখকে দখল বুঝিয়ে দেওয়ার আদেশ দেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।