নিরঞ্জন মিত্র (নিরু) ( ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএআরআই) অধীনে ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি) এর উদ্যোগে এবং “তেল জাতীয় ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি প্রকল্প” এর অর্থায়নে,(১১ জুন) শনিবার সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রশিক্ষণ রুমে তিলের উন্নত জাত ও উৎপাদন কলাকৌশল বিশয়ে শীর্ষক কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের অঞ্চল প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. সেলিম আহম্মেদ এর সভাপতিত্বে,
কৃষক প্রশিক্ষনে প্রধান প্রশিক্ষক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. ফেরদৌসি বেগম।
বৈজ্ঞানিক সহকারী মুহাম্মদ হুমায়ুন কবির এর সঞ্চালনায়, অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন
বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন ফরিদপুর (ডাল ও তৈলবীজ) উপ-পরিচালক মোঃ মাহমুদুল হাসান খান জিয়া, চরভদ্রাসন উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ আলমগীর হোসেন।
অন্যদের মধ্যে গাজীপুর তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্রের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা কৃষ্ণচন্দ্র সাহা সহ বৈজ্ঞানিক সহকারীগণ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানের সভাপতি প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকতা ড. সেলিম আহম্মেদ তিনি তাঁর বক্তব্যে প্রশিক্ষনার্থীদের উদ্দেশ্যে বলেন, তৈল জাতীয় ফসলের চাষের গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তার উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। অনুষ্ঠানে বিজ্ঞানীবৃন্দ বারি কর্তৃক উদ্ভাবিত তিলের বিভিন্ন জাতের বারি তিল-৪ (লালচে বর্ণের), বারি তিল-৫ (সাদা বর্ণের), এবং বারি তিল-৬ (কালো বর্ণের)। বপন সময়, সার প্রয়োগ, সেচ, রোগবালাই ও পোকামাকড় দমনসহ উৎপাদন কলা-কৌশলের উপর বিস্তারিত আলোচনা করেন। এই জাতগুলো উচ্চ ফলনশীল ও বেশী পরিমাণ তেল পাওয়া সম্ভব। নতুন উদ্ভাবিত বারি তিল-৬ কিছুটা জলাবদ্ধতা সহ্য করেও ভাল ফলন দেয়ার সক্ষমতা আছে। এ ছাড়া এ জাতগুলো শস্য বিন্যাসে সহজেই যুক্ত করে তেলের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
অনুষ্ঠানে ৩০ জন কৃষক এবং কৃষানী অংশগ্রহন করেন। প্রশিক্ষনে তিল চাষীরা বিভিন্ন প্রশ্ন উপস্থাপন করেন এবং বিজ্ঞানীবৃন্দ সন্তোষজনক প্রশ্নের উত্তর দেন। এরফলে চাষীরা বারি উদ্ভাবিত তিলের চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন।