সাইনুসাইটিস সমস্যাঃ সুস্থ থাকতে যা জানতে হবে
সাইনুসাইটিস অনেকের মাঝে অতি পরিচিত একটি সমস্যা। মুখমন্ডল ও মস্তিস্কের হাড়কে হাল্কা রাখার সুবিধার্তে মাথার খুলির চারিদিকে কিছু বায়ুকুঠুরি আছে যার নাম সাইনাস। আর সাইনাসের প্রদাহের জন্য যেই রোগটি হয় তা সাইনুসাইটিস নামে পরিচিত।
সাইনুসাইটিস কী?
সাইনুসাইটিস অতি পরিচিত একটা সমস্যা। মুখমণ্ডল তথা মাথার খুলির চারিদিকে চার জোড়া বায়ুভর্তি কুঠুরি থাকে। এসব কুঠুরিগুলোকেই বলা হয় সাইনাস। এগুলোতে প্রদাহ হলে তখন তাকে বলা হয় সাইনুসাইটিস।
সাইনুসাইটিস কেন হয়?
যেকোনো বয়সের মানুষের সাইনুসাইটিস হতে পারে। সাইনাস একবার কাউকে পেলে সারাজীবনেও সারেনা। সাইনাস থেকে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়ে থাকে যেমন- ঠাণ্ডা লাগা, মাথা ব্যথা ইত্যাদি। সাইনুসাইটিস সাধারণত ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস বা অন্য ধরনের জীবাণুর সংক্রমণে হয়ে থাকে। তবে অন্যান্য সমস্যা যেমন নাকে আঘাত পাওয়া, অ্যালার্জি, ঠান্ডা লাগা, ধুলোবালি, নাকের বাঁকা হাড়, নাকে টিউমার ইত্যাদি এ রোগের প্রকোপকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিতে পারে। ঠাণ্ডা লাগা, নাকের পলিপ, নাক দিয়ে ক্রমাগত পানি পড়া, অ্যালার্জি, ভাইরাল-ব্যাক্টেরিয়াল ইনফেকশন ইত্যাদি যখনই নাক ও কপালের সাইনাসের ভিতরের অংশগুলোকে বন্ধ করে দেয় তখনই সমস্যাগুলো শুরু হয়ে যায়। এছাড়া নাকের ড্রেনেজ অংশে কোন সমস্যা থাকলেও সাইনুসাইটিসের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সাইনুসাইটিসের উপসর্গগুলো কী কী?
১। সাইনুসাইটিসের সর্বপ্রধান লক্ষণ ব্যথা। সাধারণত বেশীর ভাগ রোগীর মাথাব্যথার সমস্যা হয়। এই সমস্যায় সাধারণত কপালের সামনের অংশে এবং নাকের পাশের অংশে বেশ ব্যথা অনুভূত হয়।সামনের দিকে ঝুঁকে কাজ করলে এ ব্যথা আরও বেড়ে যায়।
২। সকালের প্রথম দিকে বা ঘুম থেকে উঠলে ব্যথা বেড়ে যেতে পারে। বিশেষ ধরনের এ ব্যথাটিই সাইনুসাইটিসের প্রধান লক্ষণ।
৩। মাথার বিভিন্ন সাইনাসে ইনফেকশন অনুযায়ী এই ব্যথার অঞ্চল পরিবর্তিত হতে পারে অর্থাৎ ব্যথা নাকের গোড়ায়, উপরের চোয়ালের ওপরে, চোখের নিচে, কপালে ও মাথার নিচে যেকোনো স্থানে ছড়িয়ে পড়তে পারে। চোখের উপরে বা নিচের অংশের পাতা ফুলে যেতে পারে।
৪। সাইনুসাইটিস ব্যথার সাথে জ্বর বা হাঁচি-কাশি থাকতে পারে। তবে দেখা যায় যে দীর্ঘমেয়াদি এ সমস্যা থাকলে শরীরে জ্বর নাও থাকতে পারে । ব্যথার সঙ্গে ক্লান্ত লাগা, দাঁতে ব্যথার মতো উপসর্গগুলোও আপনাকে ভোগাতে পারে।
৫। নাকের ভেতরের মাংসগুলো ফোলা থাকতে পারে। নাকের পেছনে নাসাগলবিল অঞ্চলে অর্থাৎ আলজিভের পেছন থেকে আঠালো ঘন পুঁজ বেয়ে নেমে আসতে পারে। অনেক সময় নাক দিয়ে অনবরত পানি পড়া ও সবসময় মাথা ভার ভার মনে হয় যা এর অন্যতম একটা লক্ষণ।
৬। সাইনসাইটিসের কারণে বেশীরভাগ সময় রোগী খাবারের স্বাদ ও ঘ্রাণ বুঝতে পারে না। অনেক সময় রোগীকে অস্থির , বিমর্ষ এবং কাজের প্রতি অনীহা লক্ষ্য করা যায়। তাছাড়া শারীরিক অন্যান্য উপসর্গের মধ্যে গা ম্যাজম্যাজ করা, জ্বর ও ব্যথা ইত্যাদি হতে পারে।
সাইনসাইটিস থেকে সুস্থ থাকতে যা যা করতে