ফরিদপুরে বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সহায়তা দিলেন সদরের ইউএনও মোঃ মাসুম রেজা।
হঠাৎ করেই পদ্মা নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ফরিদপুর সদরের নিম্মাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। কোথাও কোথাও সড়কও পানিতে ডুবে গেছে। ফলে যাতায়াতে চরম বিপাকে এসব এলাকার জনগণের, মানুষের মাঝে দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। মানুষের এই দু:সময়ে সরকারের খাদ্য সহায়তা নিয়ে এগিয়ে আসলেন ফরিদপুর উপজেলা প্রশাসন। সেই সাথে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।
শুক্রবার সকালে ফরিদপুর সদরের চরমাধবদিয়া, নর্থচ্যানেল ও ডিক্রিরচর ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেছেন ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাসুম রেজা। এসময় তিনি ইঞ্জিন চালিত নৌকায় করে মানুষের বাড়ি বাড়ি গিয়ে এসব খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন।
খাদ্য বিতরণে সহযোগিতা করেন তিনটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান চরমাধবদিয়ার মির্জা সাইফুল ইসলাম আজম, নর্থ চ্যানেলের মোঃ মোস্তাকুজ্জামান ও ডিক্রিরচরের মেহেদি হাসান মিন্টু। এছাড়া স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন তরুছায়ার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি খালিদ মাহমুদ সজিব। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত বিরতিহীন ভাবে এই তিনটি ইউনিয়নের বন্যার্তদের মাঝে খাদ্য বিতরণ পরিচালনা করেন ফরিদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মাসুম রেজা। এ সময়ে মোট ৯শ পরিবারের মাঝে দশ কেজি চাউল, চিড়া, বিস্কুট, পানি বিশুদ্ধকরণ ট্যাবলেট প্রদান করা হয়।
উল্লেখ্য, ২য় দফায় পদ্মা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় সদর উপজেলার নর্থচ্যানেল, চরমাধবদিয়া, ডিক্রিরচর ও আলিয়াবাদ ইউনিয়নের বিস্তীর্ন এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। এছাড়া বৃহস্পতিবার রাত থেকে ফরিদপুরের বর্ধিত পৌর এলাকা সাদীপুর, ভাজনডাঙ্গার বেশ কয়েকটি স্থান দিয়ে শহরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। ফলে আতংক বিরাজ করছে শহরবাসীর মাঝে। জেলায় হঠাৎ বন্যার পানি প্রবেশ করায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে বিভিন্ন ফসলের। ক্ষেতে থাকা রোপা আমন, বোরো ধান এবং সবজীর ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তলিয়ে গেছে পাটও। জেলায় এ পর্যন্ত ২ হাজার ৪৬০ হেক্টর জমির ফসল নষ্ট হয়েছে।