• ঢাকা
  • শনিবার, ১২ই শ্রাবণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে জুলাই, ২০২৪ ইং
অর্ধশত বছর আগেও হংকং ছিল বাঘের আবাসস্থল!

অর্ধশত বছর আগেও হংকং ছিল বাঘের আবাসস্থল!

হংকং অঞ্চলটি ২৬০টিরও বেশি বিচ্ছিন্ন দ্বীপ নিয়ে গঠিত; যার মধ্যে প্রধানতম দ্বীপ হংকং। একসময় হংকং কৃষিজীবী ও মৎস্য শিকারিদের গ্রামপ্রধান অঞ্চল ছিল। বর্তমানে এটি বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ আর্থসামাজিক বাণিজ্যিক কেন্দ্র ও সমুদ্রবন্দর। গগনচুম্বী সব ভবনের জন্য বিশেষভাবে প্রসিদ্ধিও লাভ করেছে হংকং। অথচ মাত্র ৬০ বছর আগেও কৃষিজীবী ও মৎস্য শিকারিপ্রধান এই হংকং ছিল বাঘের আবাসস্থল! বর্তমান হংকংয়ের সঙ্গে সেখানে বাঘ থাকার বিষয়টি অনেকের পক্ষেই বিশ্বাস করা কঠিন। সর্বশেষ ১৯৬০ সাল পর্যন্ত হংকংয়ে বাঘের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া গেছে। হংকংয়ের বাঘ নিয়ে গবেষণা করছেন সাংবাদিক জন সায়েকি। বাঘ নিয়ে সেই সময়ে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত খবর, বইয়ের তথ্যচিত্র বিশ্লেষণ করে তিনি এসব তথ্য দিয়েছেন। হংকংয়ে বাঘ নিয়ে বিস্তারিত একটি বইও প্রকাশ করছেন তিনি।

১৮ শতকের মাঝামাঝি সময় থেকে প্রায় দেড় শ বছর হংকং ব্রিটিশদের নিয়ন্ত্রণে ছিল। উনিশ শতকের আগ পর্যন্ত হংকং ছিল ঝোপঝাড়ে পূর্ণ এক কৃষিভিত্তিক এলাকা। ধীরে ধীরে সেখানে সভ্যতার বিকাশ ঘটতে থাকে। যদিও উনিশ শতকের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত হংকংয়ে বাঘের বিচরণ ছিল।

জন সায়েকি তার গবেষণা প্রতিবেদনে লিখেছেন, মাঝেমধ্যেই গ্রামবাসী ফাঁদ পেতে বাঘ ধরত; সেই বাঘ মেরে তার থেকে নানা ধরনের অঙ্গপ্রত্যঙ্গ সংগ্রহও করত মানুষ। আবার অনেক সময় বাঘের আক্রমণে মানুষের প্রাণও যেত। একসময় মানুষের বসবাসের জন্য শহর তৈরি করতে জঙ্গল কেটে ফেলতে ফেলতে কমতে থাকে বাঘের আবাসস্থল। কালক্রমে বাঘশূন্য হয়ে গেছে হংকং। এমনকি গত অর্ধশতকেও সেখানে কোনো বাঘের অস্তিত্ব না মেলায় অনেকেই এখন হংকংয়ে বাঘের অস্তিত্বের কথা মানতে চায় না।

সেই সময়ের পত্রিকাগুলোতেও বাঘের আক্রমণের খবর, শিকারিদের হাতে বাঘ ধরা পড়ার খবর, শিকারিদের হাতে মারা যাওয়া বাঘের খবর মাঝেমধ্যেই প্রকাশিত হতো পত্রিকার পাতায়। এসব খবরের কোনো কোনোটা বেশ ফলাও করেই প্রকাশ করা হতো। ১৯২৯ সালের ২৮ অক্টোবরেও এ ধরনের একটি খবর প্রকাশিত হয়েছিল হংকং টেলিগ্রাফে। ১৯১১ থেকে ১৯৬০ পর্যন্ত বাঘসংক্রান্ত বেশ কয়েকটি ঘটনার কথাও নিজের গবেষণা প্রতিবেদনে তুলে ধরেছেন জন সায়েকি।

দক্ষিণ চীনের ফুজিয়ান, জিয়াংজি, হুনান ও গুয়াডোংয়ে বাঘের উপস্থিতির বিষয়টি প্রমাণিত। এমনকি ঐ অঞ্চলে খ্রিষ্টপূর্ব ৪৮ থেকে ১৯৫৩ সাল পর্যন্ত বাঘের আক্রমণেই ১০ হাজার মানুষের মৃত্যু ও আহত হওয়ার ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু হংকংয়ে বাঘের ইতিহাস সেইভাবে কখনোই আলোচিত হয়নি। এবার জন সায়েকির এই গবেষণায় উঠে এসেছে বাঘের আবাসস্থল হিসেবে হংকংয়ে অজানা এক অধ্যায়ের কথা।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

জুলাই ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« জুন    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।