সাজ্জাদ মাহমুদ সুইটঃ রাজশাহী জেলার বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ, মহদিপুর,হরিরামপুর, আলাইপুর, কিশোরপুর, পাকিকুমড়া,পাকুরিয়া, বাঘা পৌর এলাকা, আড়ানী পৌর এলাকা, আড়পার, চন্ডিপুর, দিঘা বাজার সহ চানপুর বাজার এলাকার আশে পাশে প্রকাশ্যে ও অবাধে চলছে মাদক ব্যবসা। এবং কোন ভাবেই রোধ করা সম্ভব হচ্ছে না মাদক ব্যবসায়ী দের গতি।
অনুসন্ধানে জানা যায়, নেশা জাতীয় দ্রব্য
যেমন,মদ-গাঁজা, ইয়াবা-ফেন্সিডিল ,হেরইন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে এ সকল এলাকায় । যা-সেখানকার পরিবেশ পরিস্থিতি সহ বর্তমান কিশোর, যুবকদের মানুষিকতার ব্যাপকভাবে নেগেটিভ পরিবর্তন ঘটাচ্ছে। অন্য দিকে বৃদ্ধি পাচ্ছে সন্ত্রাসী, চুরি,খুন-খারাপি সহ বিভিন্ন অপকর্মের সংখ্যা। দিনের শুরু থেকে গভীর রাত অব্দি চলে মাদকের আসর। শত শত মাদকাসক্তদের আসা যাওয়া এবং আড্ডার স্থানে পরিণত হয়েছে এ সকল এলাকা।
এতে করে অনেকেই মাদকের সিন্ডিকেট বসিয়েছে, আবার অনেকে অতিরিক্ত চিনির দুধ চা সহ মাদকাসক্তদের প্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকান। দুপুর থেকে জমে উঠে নেশাগ্রস্থদের এ সকল দোকানে আড্ডাবাজি। সেই সাথে প্রতিনিয়ত ঘটে সমাজের মুরুব্বী ও সম্মানী ব্যক্তিদের অসম্মানিত করার ঘটনা। অসম্মানিত হয়ে অসহায়ের মতো বাড়ি ফিরেন তারা।আরো জানা যায় মাঝে মধ্যেই নেশাগ্রস্থদের মার-ধোর, মোবাইল, যানবাহন, কাছের দামি জিনিসপত্র কেরে নেওয়া, এমনকি নেশাগ্রস্থদের আটকে রেখে পরিবারের থেকে টাকা নেওয়ার পর ছাড়ে মাদক সম্রাটরা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কিছু লোকের সাথে কথা বলে জানা যায়, যাদের কিছুই ছিল না তারাই আজ লক্ষ লক্ষ টাকার মালিক।মাদক ব্যবসা তাদেরকে এমন ভাবে ঝেকে বসিয়েছে,যে উঠতি বয়েসের ছেলেরাও মাদক ব্যবসায়ী হিসেবে নাম লিখাচ্ছে। এমনকি ব্যাংক থেকে টাকা বা বিয়ে করে যৌতুক নিয়েও চলছে মাদক বাণিজ্য। অনেকে আবার প্রশাসনের সোর্স পরিচয় দিয়েও মাদক ব্যবসা পরিচালনা করছে ও বিভিন্ন মাদক ব্যবসায়ীদের ভয় ভিতি দেখিয়ে বা সহায়তা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে আর্থিক সহায়তা নিচ্ছে মাদক সম্রাটদের থেকে । এসকল ব্যযবসায়ীদের সাথে এলাকার কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিও জড়িত আছে। তারা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে মাদকব্যবসার কমিশন খায়।
এসব এলাকায় এখন মাদকের রমরমা ব্যবসা।সেই সাথে বাহির থেকে আসা মাদকাসক্তদের আড্ডার স্থানে বসে অসভ্য আচরণ তো নিত্যদিনের বিষয়। তারা প্রতিনিয়ত এলাকার মুরুব্বি সম্মানী ব্যক্তি দের সাথে অসভ্য আচরণ করে এবং মাদকের অব্যবহৃত অংশ প্রকাশ্যে বা যেখানে-সেখানে ফেলে পরিবেশ নষ্ট করে। আর এই সকল ব্যক্তিদের কাছে হার মানছে সমাজের অসহায় ব্যক্তিরা।
এলাকাবাসী জানায়, প্রশাসন বিভিন্ন সময় অভিযান পরিচালনা করলেও থেমে নেই তাদের মাদক দ্রব্যের বাণিজ্য।তারা জেল থেকে বের হয়ে আবার সেই পেশায় চলে যায়,যা-আগের থেকে ভয়াবহ রূপ ধারণ করেছে।
সমাজের বিভিন্ন সচেতন মানুষের সঙ্গে কথা বলে এসবের সত্যতার প্রমাণ পাওয়া যায়। এলাকাবাসীর দাবি, তাদের সন্তানদের এবং দেশের যুব সমাজকে রক্ষা করতে এসব মাদক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া উচিত। এজন্য তারা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন।