• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৮শে অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১২ই ডিসেম্বর, ২০২৪ ইং
রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে করোনা পরীক্ষা ল্যাবে বাড়ছে নমুনা জট

মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী : বাংলাদেশের জেলা ও উপজেলাগুলোতে করোনাভাইরাস এখন সামাজিক ভাবে বিস্তার (কমিউনিটি ট্রান্সমিশন) লাভ করতে শুরু করেছে। আর তা প্রতিরোধে সন্দেহভাজনদের নমুনা পরীক্ষা বৃদ্ধির ওপর জোর দেয়া হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় আটটি বিভাগের পাশাপাশি জেলা পর্যায়েও করোনা পরীক্ষা ল্যাব স্থাপনের কথা ভাবছে সরকার।তবে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে (রামেক) করোনা পরীক্ষা ল্যব চালুর পর থেকে শুক্রবার করে ল্যবটি বন্ধ থাকছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানটির দাবি টেকটিনক্যাল সমস্যার করণে শুক্রবারে ল্যাবে পরীক্ষা সম্ভব হয়নি। এছাড়া ল্যাবে জনবলেও সংকট রয়েছে। আর গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি সম্পর্কে কিছুই জানেন না রাজশাহীর স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক।এদিকে দিন যতই গড়াচ্ছে রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে সন্দেহভাজন রোগীদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে। যা একটি মাত্র ল্যাব দিয়ে পরীক্ষা করা দূরহ হয়ে পড়ছে। তাই দ্রুত সময়ের মধ্যে রাজশাহী বিভাগে আরো অন্তত দুইটি ল্যাব চালুর দাবি জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা।সূত্র মতে, রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলার সন্দহভাজনদের করোনা পরীক্ষার জন্য ১ এপ্রিল থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে (রামেক) স্থাপন করা হয়েছে ল্যাব। রামেক এর ভাইরোলজি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. সাবেরা গুলনেহারকে প্রধান করে ৩০ সদস্যের টেকনিক্যাল টিম গঠন করা হয়েছে। সদস্যরা পৃথক পৃথক টিমে পালাক্রমে ল্যবটি পরিচালান করে আসছেন। তবে ল্যাবটি চালুর পর থেকেই শুক্রবার করে (৩, ১০ ও ১৭ এপ্রিল) বন্ধ রাখা হয়।এতকরে ল্যাবে নমুনা এসে জমা পড়লেও তা সময়মতো পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে বাড়ছে নমুনার জট; বাড়ছে ঝুঁকি। আর সন্দেহভাজন রোগীদের নমুনা সময়মতো পরীক্ষা না হওয়ায় ওই সকল রোগীদের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেয় সম্ভব হচ্ছে না।ল্যাব সংশ্লিষ্টদের দেয়া তথ্য মতে, গত ১ এপ্রিল ল্যাব চালুর পর ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত রাজশাহী বিভাগের আটটি জেলা থেকে ১২শ ১২ জনের নমুনা এসেছে। যার মধ্যে পরীক্ষা হয়েছে ৮২৮ জনের। এদের মধ্যে ৯ জনের নমুনায় করোনাভাইরাসের উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এদিকে ১২শ জনের মধ্যে ৩৫০টিরও বেশি নমুনা পরীক্ষা সম্ভভ হয়নি। এছাড়া এই ল্যাবটিতে ৯৪ জনের নমুনা একত্রে পরীক্ষা করা সম্ভব হলেও সংগ্রিহীত নমুনাগুলোতে ত্রুটি থাকায় তার সবগুলো পরীক্ষা করা সম্ভব হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করাও সম্ভব হচ্ছে না।রাজশাহী মেডিকেল কলেজের ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ডা. বুলবুল হাসানের গণমাধ্যমকে দেয়া তথ্য মতে, নমুনা সংগ্রহের পর সর্বোচ্চ দুই থেকে তিন দিনের মধ্যে তা পরীক্ষা করতে হবে। তা না হলে নুমনার গুণগত মান নষ্ট হতে থাকে। এত করে পরীক্ষার ফলাফল নিয়েও সন্দহের সৃষ্টি হয়। তিনি জানান, নমুনা সংগ্রহ বৃদ্ধি করা হলেও রাজশাহী বিভাগের এই ল্যাবের সক্ষমতা সে অনুপাতে কম। এক দিনে ৯৪ জনের নমুনা পরীক্ষ করা সম্ভব। এছাড়া ল্যাবে জনবলও কম আছে। তাই এই বিভাগে আরো ল্যাব প্রতিষ্ঠা করা জরুরী। আশার কথা বগুড়া জেলায় একটি ল্যাব প্রতিষ্টার কাজ চলছে। একি দ্রুতই চালু হবে বলে আশা করছি। এদিকে রামেক হাসপাতালে একটি পিসিআর মেশিন পড়ে আছে। তা চালু করা গেলে সকলের জন্যই ভালো হবে।এদিকে উপজেলা পর্যায় থেকে পাঠানো নমুনাগুলোর প্যাটেকের গায়ে যে আইডি (নাম, ঠিকানা, বয়স) দেয়া থাকছে, ভেতরে থাকা নমুনার টেস্টটিউবের গায়ে একই আইডি থাকছে না। এতে করে নমুনা পরীক্ষায় গতি আসছে না। নষ্ট হচ্ছে সময় ও কীট। আর জন্য দায়ি করা হচ্ছে মাঠ পর্যায়ের নুমান সংগ্রহকারীদের। তবে নমুনাগুলো যাতে ত্রুটি মুক্ত থাকে সেবিষয়ে গুরুত্ব দেয়ার জন্য ও প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জনদেরকে বলা হয়েছে বলেও জানা গেছে।শুক্রবার করে করোনা পরীক্ষা বন্ধের বিষয়ে রামেক এর প্রিন্সিপ্যাল নওশাদ আলী গণমাধ্যমকে জানান, ল্যাবের মেশিনে কিছু সমস্যা হয়েছে তাই পরীক্ষ বন্ধ ছিলো।  এসময় তিনি জানান, করোনা ল্যাবে পরীক্ষাটি জটিল ও পুরো বিশ্বেই বিষয়টি নতুন। আমাদের জনবলের ঘাটতি আছে। তবে যারা কর্মরত আছেন তারা প্রত্যেই অত্যন্ত আন্তরিক। নতুনদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নমুনা জটের বিষয়ে ডা. নওশাদ আলী আরো বলেন, প্রতিদিন নমুনার সংখ্যা বাড়ছে। তাই এই বিভাগে আরো ল্যাবের প্রয়োজন। আশাকছি দ্রুতই তা সম্ভব হবে। স্বাস্থ্য বিভাগের কাছে আমরা যখন যে ধরণের সাহযোগীতা চাচ্ছি তা পূরণ করা হচ্ছে। এদিকে গুরুত্বপূর্ণ এই বিষয়টি রাজশাহী স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক গোপেন্দ্র নাথ আচার্যের জানা নেই বলে তিনি মন্তব্য করেছেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

ডিসেম্বর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« নভেম্বর    
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।