জামালপুরের বকশীগঞ্জে বন্যার পানি ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছে। বন্যার পানি কমতে শুরু করলেও বেড়েই চলেছে মানুষের দুর্ভোগ।
বন্যার কবলে পড়ে বকশীগঞ্জ উপজেলার সাধুরপাড়া, মেরুরচর , বগারচর , নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে আছেন। প্রথম দফা বন্যায় ২১ মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হলেও দ্বিতীয় দফা বন্যায় ভিজিএফের চাল ব্যাতীত বন্যার্ত এলাকায় কোন ত্রাণ বিতরণ করা হয়নি।
তবে উপজেলা নিবার্হী অফিসার (ইউএনও) আ.স.ম.জামশেদ খোন্দকার ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) হাসান মাহবুব খান বন্যা কবলিত এলাকার মানুষের খোঁজ নিতে সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে যোগাযোগ রাখছেন।
গত ২৭ জুন থেকে ১২ জুলাই পর্যন্ত বকশীগঞ্জ উপজেলায় প্রথম ধাপে বন্যায় ৩৬ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়েন। এরপর ১৩ জুলাই থেকে দ্বিতীয় দফা বন্যা শুরু হয়। গত দুই দিন ধরে ফের পানি কমতে শুরু করেছে।
দ্বিতীয় দফা বন্যায় সাধুরপাড়া, মেরুরচর, বগারচর ও নিলক্ষিয়া ইউনিয়নের প্রায় ৬০ হাজার মানুষ পানি বন্দি হয়ে পড়ে। সাধুরপাড়া ইউনিয়নের সবকটি গ্রামই বন্যায় প্লাবিত হয়। ধীরে ধীরে পানি কমতে শুরু করলেও মানুষের দুভোর্গ কোন অংশেও কমেনি। রাস্তাঘাট, মানুষের বাড়ি বাড়িতে পানি এখনো অবস্হান করছে। বন্যা দুর্গত এলাকায় মানুষের খাদ্য সংকট দেখা দিয়েছে। মধ্যবিত্ত পরিবারের ঘরে ধান থাকলেও তা রাইচ মিলে ছাটাই করতে না পারায় বিপাকে পড়েছেন তারা।
সাধুরপাড়া ইউনিয়নের বিলেরপাড়, কুতুবের , চর কামালের বার্ত্তী, মদনের চর, আ”চাকান্দি, ঠান্ডার বন্দ, উত্তর আ”চাকান্দি , জোনাইবাড়ী, চর আইরমারী, বগারচর ইউনিয়নের আলীরপাড়া, বালুরচর, পেরিরচর , মেরুরচর ইউনিয়নের মাইছানিরচর, ভাটি কলকিহারা , উজান কলকিহারা,পূর্ব কলকিহারা গ্রামের সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এসব গ্রামের রাস্তা গুলো এখনো পানির নিচে থাকায় চলাচল বন্ধ রয়েছে।
বন্যার্ত গো-খাদ্যের সংকট দেখা দিয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও স্যানিটেশন ব্যবস্হা ভেঙে পড়েছে বন্যা দুর্গত এলাকায়।
সাবেকমন্ত্রী ও স্হানীয় সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ সার্বক্ষণিক বন্যা দুর্গতদের ফোনে খোঁজ খবর নিচ্ছেন।