মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
গোটা বিশ্বের ন্যায় বাংলাদেশেও নভেল করোনাভাইরাস আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। এই আতঙ্কের মধ্যেই বেড়েছে নিত্যপণ্যের বিক্রি। এ সুযোগে অনেক অসাধু ব্যবসায়ী বাড়িয়ে দিচ্ছেন নিত্যপণ্যের দাম, করছেন মজুত।
আর এ সুযোগে ফরিদপুরের সালথার অসাধু ব্যবসায়ীরা নিত্যপণ্যের দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। চাল,ডাল, জিরা, পেঁয়াজ, রসুনসহ বিভিন্ন প্রকারের শাক সবজি চড়াঁ দামে বিক্রি করছে। বেশ কয়েকটি দোকান ঘুরে পাওয়া গেছে এমন চিত্র।
মিনিকেট চাল প্রতি কেজি ৪৩/৪৪ টাকার স্থলে বিক্রি করছে ৪৮/৪৯ টাকায়। ডাল প্রতি কেজি বিক্রি করছে ৫৬ টাকার স্থলে ৫৮/৫৯ টাকায়। জিরা প্রতি কেজি ৩ শো টাকার পরিবর্তে বিক্রি হচ্ছে ৩ শো ৩৫ টাকায়। আর শাক সবজি অনেকটা ইচ্ছে মাফিক চড়াঁ দামে বিক্রি করছে।
হটাৎ নিত্যপণ্যের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় হিমশিম খেতে হচ্ছে ক্রেতাদের। আরো মূল্য বৃদ্ধির আশংকায় অনেক ক্রেতা তাদের সুবিধা মত প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত পণ্য ক্রয় করে রাখছে। ফলে দোকানে নিত্যপণ্যের ঘাটতিও দেখা দিচ্ছে।
এ ব্যাপারে কয়েকজন ব্যবসায়ী এই প্রতিবেদককে জানান, পাইকারী বাজার থেকেই তাদের চড়া দামে এ সব পণ্য আনতে হচ্ছে। তাই বাধ্য হয়েই একটু বেশি দামে তারা বিক্রি করছে।
সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ হাসিব সরকার বলেন, সালথায় নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের কোন সংকট নেই । অামরা সালথার বিভিন্ন বাজার কমিটির সদস্যদের সাথে বাজার পরিদর্শন করছি, যাতে করোনা ভাইরাসের দোহাই দিয়ে কোন দ্রব্যমূল্যের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে দাম বাড়ানো না হয়, সে বিষয়ে সর্তক করচ্ছি । এছাড়া মোবাইল কোর্ট ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে।
সালথা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ ওয়াদুদ মাতুব্বর বলেন, আমি নিজে শুক্রবার উপজেলার বালিয়া গট্রি বাজরে গিয়ে ব্যাবসায়ী ও বাজার কমিটির লোকজনেন সাথে কথা বলেছি। যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের দাম বাড়ানো না হয়। উপজেলা পরিষদ ও উপজেলা প্রশাসন মিলে একযোগে উপজেলার সকল বাজার মনিটরিং করবো। কোন অসাধু ব্যাবসায়ী কোন পণ্যর দাম বেশী নিতে পরবে না।
উল্লেখ্য, করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সরকারের পক্ষ থেকে জনসমাগম এড়িয়ে চলতে বলা হয়েছে। ৩১ মার্চ পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। এছাড়া দেশের সব স্থানে চলমান ও অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া বাণিজ্য মেলা বন্ধ ঘোষণা করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের কর্মীদের অফিসে না এসে ঘরে বসেই কাজ করতে নির্দেশনা দিচ্ছে।
তাই দোকানপাট কখন যে বন্ধ হয়ে যায়, সে আশঙ্কায় নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্য ও অন্যান্য দ্রব্য বেশি পরিমাণে কিনে বাসায় মজুত করতে শুরু করেছে সালথার জনগণ। এতে কাঁচাবাজারসহ মুদি দোকানগুলোতে কেনাকাটার হিড়িক পড়েছে। এ সুযোগে চালের দামও কিছুটা বাড়িয়ে দিয়েছেন বিক্রেতারা।