• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২রা মে, ২০২৪ ইং
এলাচের বাজারে আগুন!!

কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে গরম মসলার দাম। এরমধ‌্যে সবচেয়ে বেশি দাম বেড়েছে এলাচের। শনিবার (২৫ জুলাই) থেকে খুচরা বাজারে প্রতিকেজি বিক্রি হচ্ছে ৫ হাজার টাকায়। অথচ মাত্র দুই দিন আগে (বৃহস্পতিবার) এই মসলার দাম ছিল ৩২০০ টাকা। এছাড়া, লবঙ্গ, দারুচিনি, জিরা, গোলমরিচেও কোরবানির উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, জিরা ছাড়া করোনায় বাকি মসলার চাহিদা বেড়েছে। রান্নার পাশাপাশি সম্প্রতি চায়েও এসব মসলার ব‌্যবহার বেড়েছে। এখন আরও দাম বেড়ে যাওয়ায় অস্বস্তিতে পড়তে হচ্ছে ক্রেতাদের।

এর আগে, রোজার ঈদেও মসলার বাজার উত্তাপ ছড়িয়েছিল। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে ওই সময় এই পণ‌্যে দাম বেঁধে দেয় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। রোজার পর থেকে এতদিন সেই নির্ধারিত দামেই কেনাবেচা হয়েছে।

পাইকারি থেকে খুচরা বাজারে গরম মসলার দামে বিপুল ব‌্যবধান দেখা গেছে। রাজধানীর কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় প্রতিকেজি গরম মসলার পাইকারি দামের তুলনায় একই মার্কেটের নিচতলায় খুচরা বিক্রেতারা প্রায় দেড়গুণ ব‌্যবধানে বিক্রি করছেন। এর চেয়ে বেশি বেড়েছে পাড়া-মহল্লার বাজার ও অলিগলির দোকানগুলোতে।

হাতিরঝিল সংলগ্ন মধুবাগ বাজারের রফিক স্টোরে প্রতিকেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে দাম ৫০০০ টাকায়। আর লবঙ্গে দাম রাখা হচ্ছে ১২০০ টাকা। আর খুচরা বিক্রেতা রামপুরা বাজারের তাহের স্টোরের স্বত্বাধিকারী আবু তাহের বলেন, ‘ভালো মানের এলাচের বিক্রি দাম ৫০০০ টাকা।’

এদিকে, কাওরান বাজারের কিচেন মার্কেটের (নিচতলা) মেসার্স রতন স্টোরে খুচরা বিক্রয়মূল্য তালিকায় এলাচের দাম দেখানো হয়েছে মানভেদে ৩২০০-৩৬০০ টাকা এবং ৪২০০-৫০০০ টাকা। এছাড়া, লবঙ্গের দাম ৯৮০-১১৮০ টাকা, গোলমরিচ (সাদা) ৭৮০-৮৮০ টাকা এবং (কালো) ৬৮০ টাকা, দারুচিনি ৪২০-৪৮০, জিরা ৩৬০-৪০০ টাকা দেখা গেছে।

এই মার্কেটেই দ্বিতীয়তলায় প্রতিকেজি এলাচের পাইকারি মূল্য ২৭০০-৩২০০ টাকা, লবঙ্গ ৭০০-৮০০ টাকা, দারুচিনি ৩৮০ টাকা, গোলমরিচ ৪৪০ টাকা এবং জিরা ২৮০ টাকা বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) চলতি বছরের ২৩ জুলাইয়ের বাজার মূল্য প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত বছর একই সময়ে (২৩ জুলাই) এলাচের কেজিপ্রতি দাম ছিল ২৫০০-৩০০০ টাকা। যা এক মাস আগে ছিল ৩২০০ টাকা। একইভাবে লবঙ্গের দাম এক বছর আগে ছিল ১২০০-১৭০০ টাকা। আর মাসখানেক আগে ছিল ৮০০-৯০০ টাকা। দারুচিনির দাম ছিল যথাক্রমে ৪০০-৪৫০ এবং ৪০০-৫০০ টাকা।

খুচরাপর্যায়ে দাম বাড়ার কারণ সম্পর্কে জানতে চাইলে পাইকারি বিক্রেতা ও কিচেন মার্কেটের ফরিদগঞ্জ বানিয়াতী স্টোরের স্বত্বাধিকারী মো. মিজান বলেন, ‘খুচরা বিক্রেতারা এক-দুই কেজি মসলা কিনে সারা মাসেও বিক্রি করতে পারেন না। এ কারণে হয়তো দাম কিছুটা বেশি রাখেন খুচরা বিক্রেতারা।’

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, ‘কে কত দামে বিক্রি করছেন, তার রিসিট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানেই থাকে। ফলে এখানে বাড়তি মুনাফা করার সুযোগ নেই কারও। দামের লাগাম টানতে খুচরা পর্যায়ে মনিটরিং দরকার।’ তাহলেই মসলার দাম নিয়ে অস্বস্তি কমবে বলেও তিনি মন্তব‌্য করেন।

রাইজিং বিডি।।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।