প্রাণঘাতী করোনায় আক্রান্ত গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর শরীরে প্লাজমা দেয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তার শরীরে ‘ও’ পজিটিভ রক্তের ২০০ মিলি প্লাজমা দেয়া হয় বলে গণমাধ্যমকে ডা. জাফরুল্লাহ নিজেই জানিয়েছেন।
প্লাজমা থেরাপি নেয়ার পর ভালো অনুভব করছেন বলে গণমাধ্যমকে জানান ডা. জাফরুল্লাহ।
একই তথ্য দিয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী সুস্থ আছেন বলে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে জানানো হয়েছে।
গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র থেকে আরও জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার ডায়ালাইসিস নিয়েছেন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। ডায়ালাইসিসের পরই করোনা চিকিৎসার জন্য প্লাজমা থেরাপি নেন তিনি।
গত ২৫ মে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণ স্বাস্থ্য কেন্দ্র উদ্ভাবিত র্যাপিড করোনা টেস্ট কিটে তার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়।
এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, র্যাপিড কিট দিয়ে টেস্ট করে আমার করোনা পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে, যা সঠিক। তাই পিসিআর টেস্ট অপ্রয়োজনীয়। অপ্রয়োজনীয় কোনো কাজই আমি করিনি। এটাও করব না।
জানা গেছে, কভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্তের পর থেকে ধানমণ্ডিতে নিজের বাসায় একটি কক্ষে আইসোলেশনে রয়েছেন এই চিকিৎসক।
আইসোলেশনে তার শারীরিক অবস্থার বিষয়ে তিনি বলেন, শরীরের তাপমাত্রা একটু বেড়েছিল। কিন্তু এখন ঠিক হয়েছে। খাওয়া-দাওয়াও ঠিকভাবে করছি।
হাসপাতালে ভর্তি হবেন কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আমার হাসপাতালে যাওয়ার দরকার নাই। আমাকে হাসপাতালে ডায়ালাইসিস করতে হবে। গত ছয় বছর যাবত প্রতি সপ্তাহে তিনবার ডায়ালাইসিস নিয়ে থাকি। আর এটা বাসায় থেকে করতে পারছি। প্লাজমা থেরাপি নেয়ার আগে বাসায় আলাদা রুমে কিডনি ডায়ালাইসিস করেছি। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পরে এটা আমার প্রথম ডায়ালাইসিস।
এদিকে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা শনাক্তের পর থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার খোঁজ-খবর নিয়েছেন।
এ বিষয়ে ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াও আমার খোঁজ-খবর নিয়েছেন। সব রাজনৈতিক দল থেকেই যোগাযোগ করা হয়েছে।