মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-২৭/০৮/২০২৩
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার আজিমনগর ইউনিয়নের পাতরাইল দীঘীরপাড় গ্রামের সড়কে শনিবার সন্ধ্যায় স্ত্রীর লাশ রেখে পালিয়ে যান তার স্বামী। খবর পেয়ে ভাঙ্গা থানা পুলিশ শনিবার রাতেই রুমা আক্তার(৩০) এর লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। সে উক্ত গ্রামের টোকান মাতুব্বরের স্ত্রী এবং তার বাবার বাড়ী মাদারীপুর জেলার রাজৈর থানার চানপুট্রি গ্রামের মৃত কুদ্দুছ মাতুব্বরের মেয়ে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানায়, একটি এ্যাম্বুলেন্স শনিবার সন্ধ্যায় ফিডার সড়কের পাশে স্টীলের খাটের উপর চাদর দিয়ে পেচানো অবস্থায় লাশটি ফেলে স্বামী পালিয়ে যায়। এসময় সে ফোন করে নিকট আত্মীয় স্বজনদের বিষয়টি জানালে তারা থানায় খবর দেয়। আমরা লাশটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য রবিবার ফরিদপুর মেডিকেল কলেজে প্রেরন করি। এ বিষয়ে ভাঙ্গা থানায় একটি অপমৃত মামলা হয়েছে। পরবতীতে তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
নিহত রুমার বেগমের পরিবারের সদস্য ও প্রত্যক্ষদশর্ীদের সাথে কথা বলে জানা যায়, স্বামী টোকান মাতুব্বর ও তিন ছেলে মেয়কে নিয়ে রুমা বেগম ঢাকার উত্তর বাড্ডার সাতারকুলে একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন। কিছুদিন পুর্বে টোকান মাতুব্বর একটি মেয়ের সাথে পরোকীয়ায় আসক্ত হয়। এনিয়ে উভয়ের সাথে ঘটনার দিন কথা কাটাকাটি হয়। শনিবার দুপুরে একটি ফোন থেকে রুমার পরিবারের লোকজনকে জানানো হয় রুমা আত্মহত্যা করেছে তার লাশ ঢাকা থেকে নিয়ে যাবার জন্য। বিষয়টি নিয়ে গ্রামে থাকা উভয় পরিবারের মধ্যে কান্নার রোল পড়ে। সাথে সাথে রুমার পরিবারের কয়েকজন সদস্য ঢাকায় যায় রুমার লাশ আনার জন্য। সারাদিন তারা ঢাকার বাসা, স্থানীয় থানা ও হাসপাতালের কোথাও রুমার লাশ খুজে না পেয়ে পুনরায় সেই নম্বরে যোগাযোগ করলে স্বামী টোকান মাতুব্বর জানায় রুমার লাশ আমার গ্রামের বাড়ীর সামনের সড়কের উপর রাখা আছে।
এলাকার প্রত্যক্ষদশর্ী সোবাহান মাতুব্বর জানায়, ঘোর সন্ধ্যার সময় পাতরাইল দীঘীরপাড় সড়কে একটি এ্যাম্বুলেন্স আসে। এ্যাম্বুলেন্সটি তড়িঘড়ি করে একটি স্টীলের খাটের উপর চাদর দিয়ে পেচানো অবস্থায় লাশটি রেখে পালিয়ে যায়। এলাকার লোকজন এগিয়ে এসে দেখতে পায় লাশটি রুমা বেগমের।
এবিষয়ে রুমার মামা বাবলু মাতুব্বর জানায়, আমার ভাগ্নির শরীরের বিভিন্ন জায়গার ক্ষত চিহ্ন রয়েছে। সে যদি আত্মহত্যাই করত তবে তার শরীরে এত আঘাতের চিহ্ন থাকতোনা। রুমাকে তার পাষন্ড স্বামী টোকান মাতুব্বর নির্যাতন করে মেরে ফেলেছে। আমি রুমার হত্যার সুবিচার চাই।