• ঢাকা
  • শনিবার, ২০শে আশ্বিন, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৫ই অক্টোবর, ২০২৪ ইং
পড়ার টেবিল ছিলো না বৃষ্টির, চান্স পেয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ে

রেজাউল করিম
——————————————-
একদিন স্কুলের দিদিমনি পড়াশোনার খোঁজ নিতে বাসায় ভিজিট করতে আসেন। তিনি বলেন “কী রে বৃষ্টি তুই পড়িস কিভাবে? তোর কী পড়ার টেবিল নেই?” বৃষ্টি সেদিন সলজ্জ হেসে বলেছিলো-” না দিদিমনি আমার পড়ার টেবিল
নেই।”

হ্যাঁ। সেই বৃষ্টি সরকার এবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ও গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছেন৷ তবে
প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে গ ইউনিটে ভর্তি হবেন বৃষ্টি সরকার। আর ভবিষ্যতে হতে চান বাংলাদেশ ব্যাংকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা।

বাবা বিশ্বজিৎ সরকার ফরিদপুরে এক চাউলের দোকানের সাধারণ কর্মচারী। মহাজনের কাছ থেকে যে মাইনা পান তাই দিয়ে চলে তাদের ৪ জনের টানাটানির সংসার। তবে মা গীতা রানী দর্জির কাজ করে কিছু টাকা আয় করেন এবং বৃষ্টির পড়ার খরচ চালান ।

এইচ এস সি পাশ করার পর মা গীতা রানী বৃষ্টিকে ফরিদপুরে অবস্থিত তুষার’স কেয়ার নামক একটি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি কোচিংয়ে ভর্তি করিয়ে দেন।
মায়ের অনুপ্রেরণা, শিক্ষকদের উৎসাহ ও এক বান্ধবীর একান্ত সহযোগিতায় বৃষ্টি এ সাফল্য পেয়েছেন বলে বৃষ্টি জানান।

বৃষ্টি সরকার সারদা সুন্দরী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০১৮ সালে এস এস সি পরীক্ষায় বানিজ্য বিভাগ থেকে জিপিএ ৫ এবং পরবর্তীতে সরকারি সারদা সুন্দরী মহিলা কলেজ থেকে ২০২০ সালে এইচ এস সি পরীক্ষায়ও
জিপিএ ৫ অর্জন করেন।

সাফল্যের গল্প ও স্বপ্নের কথা বলতে গিয়ে বৃষ্টি বলেন, স্যার আমার পড়ার টেবিল ছিলো না ঠিকই কিন্তু আমি সবসময়ই পড়তাম। রাত দুটো পর্যন্ত পড়েছি। আবার ভোর ৬ টায় মা জাগিয়ে দিতেন।

পড়ার ইচ্ছা থাকলে অভাব কোন বাধা নয় বলে বৃষ্টি বলেন কলেজ শিক্ষকদের কাছ থেকে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার স্বপ্ন দেখেছি। আমি আমার শ্রদ্ধাভাজন শিক্ষকদের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা ও প্রণতি জানাই।

“আমি ভবিষ্যতে আমার স্বপ্নের সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে চাই; দেশ ও দশের মান রাখতে চাই” বলে আবেগাপ্লুত বৃষ্টি কেঁদে ফেলেন।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

অক্টোবর ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« সেপ্টেম্বর    
 
১০১১
১২১৩১৪১৫১৬১৭১৮
১৯২০২১২২২৩২৪২৫
২৬২৭২৮২৯৩০৩১  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।