পিন্টু অধিকারী মাধবপুর ( হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি:
হবিগঞ্জের মাধবপুরের ৫টি চা-বাগানের জীবনের করোনার ঝুঁকি মধ্যেও কাজ করে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। দেশের বৃহত্তম মাধবপুর উপজেলার সুরমা চা বাগানের প্রতিটি শ্রমিকের ঘরে করোনা ভাইরাস সংক্রমণের ঝুঁকি রোধে একটি শ্লোগান উঠেছে”আপনার সুরক্ষা আপনার হাতে” অনঅগ্রসর চা শ্রমিকদের করোনা ভাইরাস(কোভিড১৯) সম্পর্কে সচেতন করেছেন বাগান কর্তৃপক্ষ। করোনার ঝুঁকি রোধে চা বাগানে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মাধবপুর উপজেলার গার্মেন্টস ও শিল্প প্রতিষ্টানগুলো বন্ধ থাকায়। কিন্তু, সরকার ও চা বাগানের মালিকদের সিদ্ধান্ত মোতাবেক চা-শ্রমিকরা অবশ্যই কাজ করে যাচ্ছেন। কারণ, মালিকদের যুক্তি, চা-শ্রমিকরা করোনার ঝুঁকি থেকে মুক্ত এবং তারা নিরাপদেই বসবাস করেন; কাজেই চা-বাগানগুলো চালু রাখতে কোনো সমস্যা নেই। বলা বাহুল্য, করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারঘোষিত প্রণোদনা সুবিধার আওতায়ও চা-শ্রমিকরা নেই। চা-বাগানগুলোতে বসবাসরত হাজার হাজার মানুষের আরেকটি গুরুতর বিষয় রয়েছে। সেটি হলো— চা-বাগানগুলোতে সাধারণত এক পরিবার থেকে একজনই চা-বাগানে কাজ করেন এবং তার দৈনিক আয় ১০২ টাকার নগদ মজুরি ও কিছু রেশন সুবিধা। কিন্তু, পাঁচ সদস্যের পরিবারের পক্ষে এইটুকু দিয়ে বেঁচে থাকা খুবই কঠিন। প্রায় চা-বাগানে যত শ্রমিক তার থেকেও বেশি মানুষ ঠিকাদারের মাধ্যমে বা নিজেরা কাজ খুঁজে প্রতিদিন রোজগার করেন। ৬নং শাহজাহানপুর চেয়ারম্যান সাহেব, জনাব তৌফিকুল আলম চৌধুরী বলেন, চা জনগোষ্ঠীকে করোনা সংক্রমণ ঝুঁকি থেকে রক্ষা করোনা প্রতিরোধ সতর্কতা মূ্লক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। সুরমা চা বাগান ৩০০জন কে শ্রমিকদের মাঝে সরকারি ত্রান দেওয়া হয়েছে আগামী কয়েকদিন মধ্যে তেলিয়াপাড়া চা বাগানে অহসায়, দরিদ্র, প্রতিবন্ধী ও শ্রমিকদের মাঝে সরকারি ত্রান দেওয়া হবে। তিনি বলেন চা বাগানে নিন্ম আয়ের দিন মজুর বেকার শ্রমিক শ্রমিক রয়েছে অনেক। তাদের পাশে দাড়াতে প্রশাসন ও সমাজ সেবকদের প্রতি আহবান জানান।যাতে আমরা সকলে মিলে বৈশ্বিক মহামারি করোনা দুর্যোগ কাটিয়ে উঠতে পারি।