রাজশাহীর দুর্গাপুরে নিয়ম বহির্ভূত ভাবে ইট ভাটায় কাজ করতে গিয়ে এক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ “
মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল, রাজশাহী :
রাজশাহীর দুর্গাপুরে নিয়ম অমান্য করে ইটভাটায় শ্রমিকের কাজ করতে গিয়ে এক শ্রমিক অগ্নিদগ্ধ হয়েছেন।আজ(২৮/০৪/২০২০ ইং) সকাল অনুমান ১১ ঘটিকায় উক্ত ঘটনা ঘটে বলে জানা যায়।আগুনে পুড়ে অগ্নিদগ্ধ গুরুতর আহত শ্রমিকের নাম রাব্বেল (৫৮), পিতাঃ মৃতঃ তাজ্জেন আলি। তার বাড়ি কাটাখালি থানার পাক ইসলাম পুর গ্রামে।
রাজশাহী জেলায় যে কয়টি বেআইনী ভাবে ইট ভাটা রয়েছে ABC তার মধ্যে অন্যতম।দুর্গাপুর উপজেলার আমগাছি এলাকায় এই ABC নামক ইটভাটাটি অবস্থিত।আমগাছি এলাকার একাধিক ব্যক্তি এই ইটভাটার নামে অভিযোগ তুলে বলেন কোন নিয়ম নীতিরকে তোযাক্কা না করেই প্রশাসনের নাকের ডগায় এই ইটভাটা পরিচালিত হয়ে আসছে দীর্ঘদিন যাবত।ইতিপূর্বে বেশ কিছু গ্রামবাসী উক্ত ইট ভাটা বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবী জানালেও তা কোন এক অদৃশ্য কারণে সম্ভব হয়নি।
সারা দেশে যখন করোনা যুদ্ধের কারণে থমকে দাড়িয়ে আছে,তখন কোন প্রকার নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করেই এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখেই চলছিল এই অবৈধ ইট ভাটা।অনুসন্ধানে আরো জানা যায় ইতিপূর্বে ইট ভাটার নাম ছিল নাহার।সরকার উক্ত ইট ভাটা বন্ধ করে দিলে তিনি নতুন নাম ABC ব্যাবহার করে বহাল তবিয়তে ইট ভাটার ব্যাবসা চালিয়ে আসছে। অভিযোগ রয়েছে সকল কে ম্যানেজ করেই চলছিল এই ইটভাটার কাজ।দেশের এমন সময় সরকারি নিষেধ অমান্য করে কাজ করার ফলে একজন শ্রমিক গুরুতর আহত হওয়ায় মানষিকভাবে ভেঙ্গে পড়েছে আহত শ্রমিকদের পরিবার অথচ ইট ভাটার মালিক ফজলুল করিম সান্টু উক্ত গুরুতর আহত শ্রমিকের দায়ভার নিতে অস্বীকার করেন।
আহত রব্বেলের পরিবার গণমাধ্যমকে কে বলেন তার অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় দ্রুত তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ABC ইটভাটার মালিক ফজলুল করিম শান্টু উদ্ধত আচরণ দেখিয়ে বলেন আমরা সরকারকে ভ্যাট ট্যাক্স দিয়েই ইট ভাটা পরিচালনা করি ।আপনি যা ইচ্ছা লিখেদিন?
রাজশাহী করোনা ভাইরাসের বিস্তার রোধে ইতিমধ্যে লক ডাউন ঘোষণা করে সোস্যাল ডিসটেন্স মেনে চলার জন্য সরকার আপ্রাণ চেষ্টায় লিপ্ত,জনগণকে বার বার বোঝানো হচ্ছে সামাজিক দূরত্ব মেইনটেইন করোনা প্রতিরোধের একমাত্র পরীক্ষিত উপায়, এমতাবস্থায় আপনি কোন নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইটভাটা বন্ধ করেনি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে সে কোন জবাব না দিয়ে ফোন কেটে দেন। পরে একাধিকবার তার সাথে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করা হলেও সে আর ফোন রিসিভ করেননি।