• ঢাকা
  • শনিবার, ১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
মধুখালীর হাটে সরবরাহ বেড়েছে মিষ্টি কুমড়ার

সালেহীন সোয়াদ সাম্মী, মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি ঃ ফরিদপুরের মধুখালীতে হাটের একটি অংশ এখন দখল করে আছে কাঁচা-পাকা মিষ্টি কুমড়া।

সোমবার (২৮ নভেম্বর) দুপুরে হাট ঘুরে দেখা গেছে, ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক সংলগ্ন মধুখালী পৌর এলাকার এ হাটে জমজমাট কুমড়ার বিকিকিনি। সকাল থেকেই কৃষকরা তাদের উৎপাদিত কুমড়ার পসরা সাজিয়ে বসেন ক্রেতাদের দৃষ্টি কারতে।
সরেজমিনে দেখা যায়, কুমড়া ক্ষেত থেকে তুলে সরাসরি বিক্রি করতে বাজারে নিয়ে এসেছে কৃষক। সকাল থেকে তাদের এই বিক্রির আয়োজন চলে। ক্ষেত থেকে কুমড়া তোলার পর ভটভটি, ভ্যান, রিকশাসহ বিভিন্ন মাধ্যমে সকাল থেকেই এই বাজারে হাজির হতে শুরু করে। বাজারে পা রাখা মাত্র স্থানীয়সহ দেশের নানা প্রান্ত থেকে আসা পাইকাররা ঘিরে ধরে কৃষকদের। যে যার মতো তাদের উৎপাদিত সবজি নিয়ে বাজারের নির্ধারিত স্থানে গিয়ে অবস্থান নেন। পরে পাইকাররা দরদাম করে কুমড়া কিনতে শুরু করেন। এভাবেই দিনব্যাপী চলে কেনা-বেচা। বিকেল হতেই দূর-দূরান্তের পাইকারদের কেনা কুমড়া পন্যবাহীতে নিয়ে ছুটে চলেন নিজ এলাকার বাজারগুলোতে।
উপজেলায় মরিচ ক্ষেতে সাথী ফসল হিসেবে আগস্ট মাসের মাঝামাঝি সময়ে মিষ্টি কুমড়া আবাদ করেন অনেক চাষিরা। আবার অনেক কৃষক এগুলো এককভাবে চাষ করেন। এক্ষেত্রে অবশ্য ফলনও বেশি পাওয়া যায়। বাড়তি সার ও কিটনাশক ছাড়াই স্বল্প খরচে বিষমুক্ত সবজি মিষ্টি কুমড়া উৎপাদন করে ভাল দাম পাওয়ায় কৃষকের লাভবান হয়। কম খরচে অধিক লাভ হওয়ায় চাষিরা মিষ্টি কুমরা চাষাবাদ করেন কৃষকরা। চাষিরা এখন কুমড়া বাজারজাতকরণে ব্যস্ত থাকলেও তারা বলছেন এ বছর ফলন কম হয়েছে বলে বলছেন অনেকে।
কথা হয় বাজারে কুমড়া নিয়ে আসা একাধিক কৃষকের সাথে তারা জানান, ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মাথায় চাষিরা মিষ্টি কুমড়া বাজারজাত করতে পারেন। জমিতে কুমড়ার মাচা হিসেবে ব্যবহার হয় মরিচ গাছ। এতে চাষিদের বাড়তি খরচ করে মাচা দেওয়ার প্রয়োজন হয় না। মরিচ গাছের মাচার নিচে ঝুলে থাকে মিষ্টি কুমড়া। উৎপাদিত কুমড়া স্থানীয় চাহিদা পূরণ করে পাঠানো হচ্ছে ঢাকা, কুমিল্লা, মাগুরা, মানিকগঞ্জ সহ বিভিন্ন জেলায়।
মধুখালী উপজেলা কৃষি অফিসার আলভীর রহমান জানান, ‘উপজেলায় এ বছর ২ হাজার ১০ হেক্টর জমিতে কুমড়া আবাদ হয়েছে। গত বছর যা ছিলো ২ হাজার ৪ শত ৩০ হেক্টর। গতবারের তুলনায় ৪শত ২০ হেক্টর জমিতে কম আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে, কম হওয়ার কারন হিসাবে সঠিক সময়ে বৃষ্টিপাত না হওয়া, পাট নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন কৃষকরা। শেষের দিকে বৃষ্টি হওয়ার পরবর্তীতে তারা মরিচ চাষে বেশি ঝোক দিয়েছে। যার ফলে মিষ্টি কুমড়ার আবাদ ও ফলন দুটিই কম হয়েছে। তবে আগামী বছর আবহাওয়া অনুকুলে থাকলে আবাদ পুনরায় বৃদ্ধি পাবে বলে আশাবাদী কৃষিঅফিস।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।