• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ৩রা বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ই এপ্রিল, ২০২৪ ইং
করোনাভাইরাস কেনাকাটায় সাবধানতা

করোনার সময়ে কোনটি নিরাপদ আর কোনটি অনিরাপদ এই প্রশ্ন আমাদের মাথায় সবসময় ঘুরপাক খাচ্ছে। খাদ্যদ্রব্যের নিরাপত্তার বিষয়টিও আমাদের কাছে ছোট নয়। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির হাঁচি-কাশির তরল ফোটার মাধ্যমে খাদ্যদ্রব্যও কখনো কখনো ভাইরাসটির বাহক হতে পারে। তাই খাবার খাওয়া এবং কেনাকাটার সময় আপনাকে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে।

পরিচ্ছন্ন রান্নাঘরের ব্যাপারে বাড়তি সতর্ক হোন: খাদ্য প্রস্তুত কিংবা গ্রহণের জন্য যেকোনো সময় রান্নাঘরে প্রবেশের পূর্বেই অন্তত ২০ সেকেন্ড হাত ধুয়ে নিন। কিচেনের ফ্লোর এবং হাতলগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করুন। ফ্রিজ ও সিঙ্ক ভালোমতো জীবানুনাশক দিয়ে পরিষ্কার করে নিন।

শাকসবজি ও ফল ধুয়ে নিন: আপনার খাবারটি যদি অর্গানিকও হয়ে থাকে তবুও ধুয়ে নিন। যেমন শাকসবজি এবং ফল ভালেমতো সাবান-পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।

মুদিদ্রব্য নিরাপদে নিন: সম্ভব হলে দোকানে ভিড় কম থাকাবস্থায় কেনাকাটা করার চেষ্টা করুন। অন্যান্য ক্রেতা থেকে কমপক্ষে ৬ ফুট দূরত্ব বজায় রাখার চেষ্টা করুন অথবা হোম ডেলিভারি নিন। হোম ডেলিভারির ক্ষেত্রে ডেলিভারিম্যানের কাছাকাছি না হয়ে নিরাপদ দূরত্বে জিনিস রেখে যেতে বলুন। কৌটাজাত কিংবা হিমায়িত খাবার এবং পাস্তা কিংবা চালের মতো শুকনো খাবার বেশি করে কিনে রেখে বারবার বাজারে যাওয়ার হাত থেকে রেহাই পেতে পারেন। তবে আপনার মুদি সামগ্রী মজুদ যেন বাজারে খাদ্য সংকটের কারণ না হয়।

সুপারশপ থেকে কেনাকাটায় সচেতন থাকুন: সুপারশপে গিয়ে শপিংকার্টের হাতল ধরার সময় জীবানুনাশক ওয়াইপ ব্যবহার করুন এবং বাড়ি ফিরে প্রথমেই ভালো মতো হাত ধুয়ে নিন। স্টোরের লোকজনকে যেসব স্থানে ক্রেতারা স্পর্শ করে সেসব জায়গাগুলো বারবার জীবাণুমুক্ত করার তাগিদ দিন।
যদিও যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের মতে, করোনাভাইরাস কার্ডবোর্ড এর ওপর ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত জীবিত থাকতে পারে, কিন্তু খাদ্য কিংবা খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেট এর সঙ্গে করোনাভাইরাস বহনের কোনো সম্পৃক্ততা এখনও পাওয়া যায়নি। তবে আপনার মানসিক শান্তির জন্য খাদ্যদ্রব্যের প্যাকেটকে জীবাণুমুক্ত করে নিতে পারেন। তবে খেয়াল রাখুন জীবানুনাশক যেন খাবারে না মিশে যায়।

বাইরের খাবারের ব্যাপারে অতিরিক্ত সতর্ক হোন: এই মূহুর্তে রেস্টুরেন্ট-এ জড়ো হওয়া কোনোভাবেই নিরাপদ নয়। তবে বাইরের খাবার খাওয়াতে সমস্যা নেই। পারলে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি যোগাযোগের ক্ষেত্রে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখুন এবং আলাপচারিতার পর হাত ধুয়ে নিন। বাড়িতে ঢুকেই খাবার প্লেটে নামিয়ে রাখুন এবং প্যাকেটটি যথাস্থানে ফেলে দিন। খাবার গ্রহণের পূর্বে হাত ধুয়ে নিন। যদিও খুব বেশি গুরুত্বপূর্ণ নয়, তবুও জীবাণুমুক্ত করার জন্য খাবার কিছুক্ষণ মাইক্রো ওয়েভে দিয়ে নিতে পারেন।

ঘরে থাকা খাবারের ব্যাপারে সচেতন হোন: এই মূহুর্তে ঘরে অতিরিক্ত খাদ্য মজুত করে রাখার কোনো প্রয়োজন নেই। বারবার বাজারে যাওয়ার ভয়ে যদি আপনি অধিক খাদ্য ঘরে রাখেন, তবে সেগুলো ভালো রাখার জন্য পর্যাপ্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। মাংস ফ্রিজে রেখে সর্বোচ্চ এক বছর ভালে রাখা যায়। ডিম ফ্রিজে রাখলে ৩ থেকে ৫ সপ্তাহ পর্যন্ত ভালো থাকে। প্রথমে যেসব জিনিস ব্যবহার করতে হবে সেগুলোকে অপেক্ষাকৃত ফ্রিজের সামনের দিকে রাখুন।

তথ্যসূত্র: ওয়েবএমডি

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।