ফরিদপুরে
২৯ জুন ২০২০ সোমবার,ফরিদপুর
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় অদৃশ্য প্রাণীর কামড়ে আতঙ্কে রয়েছে ছয় গ্রামের মানুষ। গত শুক্রবার থেকে এ অদৃশ্য প্রাণীর কামড়ে মুক্তিযোদ্ধাসহ নারী ও শিশু প্রায় ৩ শতাধিক মানুষ আক্রান্ত হয়েছেন।
সোমবার উপজেলার ঘোষপুর ইউনিয়নের চন্ডিবিলা, রাখালগাছি, গোহাইলবাড়ি, দৈতরকাঠি ও ময়না ইউনিয়নের খাইলপাড়া গ্রামের প্রায় বিশজন আক্রান্ত মানুষের সাথে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। তবে এখন পর্যন্ত এই অদৃশ্য প্রাণীর কামড়ে কারও মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। আক্রান্ত সবাই সুস্হ্য আছেন।
ঘোষপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা তবিবর মিনা বলেন, এই এলাকার মানুষ আতঙ্কে আছে। যেখানে সেখানে কামড়াচ্ছে এই অদৃশ্য প্রাণী। আজকেও কয়েকজনকে কামড় দিয়েছে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে কবিরাজ এসে সাপে কামড়ের মত চিকিৎসা দিলে সে ভাল হয়ে গেছে। এই কামড়ে মুক্তিযোদ্ধা সাত্তারের পরিবারের ৯ জন সদস্য আক্রান্ত হয়েছেন।
কামড়ে আক্রান্ত চরদৈতরকাঠি গ্রামের শাকিব (১৭) বলেন, রোববার দুপুরে সাইকেল চালিয়ে বেড়ানোর সময় হঠাৎ পায়ের এক জায়গায় পুড়ে ওঠে। আস্তে আস্তে শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হলে কিছুক্ষণ পর শরীরে ব্যাথা অনুভব করি। বাড়ি এসে কবিরাজের কাছে গিয়ে বিশ নামালে আমি ভাল হয়ে গেছি।
গোহাইলবাড়ি গ্রামের কবিরাজ আক্কাস মিনা জানান, আমি এ পর্যন্তু প্রায় একশ রোগীর চিকিৎসা দিয়েছি। কিন্তু সাপে না কি পোকায় কামড়াছে এটা আমি ধারণা করতে পারিনি। কিন্তু সাপে কামড়ালে যেভাবে চিকিৎসা দেই; সেই চিকিৎসা দিলে রোগী ভাল হয়ে যাচ্ছে।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে ঘোষপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম ফারুক হোসেন বলেন, প্রথমে আমার ইউনিয়নের রাখালগাছি গ্রামে সাপে কামড়ের মত ত্রিশজনকে কামড়াইছে। যেখানে কামড় দেয় সেস্হানে ক্ষত হয়ে রক্ত বের হয় এবং রোগীর বমি শুরু হয়। পরে ওঝার কাছে গিয়ে বিশ নামালে রোগী সুস্হ্য হয়ে যাচ্ছে। তারপর ওই গ্রামে আলেম ওলামাদের এনে গ্রাম বন্ধ দিলে পাশের গ্রামে আবার আক্রান্ত শুরু হয়েছে।
সোমবার বিকেলে উপজেলা স্বাস্হ্য ও পরিবার কল্যান কর্মকর্তা ডা. খালেদুর রহমান বলেন, ঘটনাটি আমি শুনেছি। তবে এরকম ঘটনা গুজব মনে হচ্ছে। এই গুজবে ওই এলাকায় আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। সরেজমিনে গিয়ে কোন রোগী দেখতে পায়নি।