সাম্প্রতিক ফরিদপুরের রাজনীতি ও আ.লীগের ভেতরে শুদ্ধি অভিযানকে স্বাগত জানিয়ে তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে নেতাকর্মীদের পাশে থাকার অঙ্গীকার প্রকাশ করলেন ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি, বিশিষ্ট সমাজসেবক ও শিল্পপতি শামীম হক।

তিনি রবিবার দুপুরে তার বাসভবনে একান্ত সাক্ষাৎকারে বলেন, ফরিদপুরে সকল কিছু সমৃদ্ধ বাংলাদেশের সফল রাষ্ট্রনায়ক, মানবতার জননী, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তীক্ষ্ণ চোখে পর্যবেক্ষণ করছেন, তার নির্দেশনাই চূড়ান্ত। ফরিদপুরে আ.লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের কোন হাইব্রিড, অনুপ্রবেশকারী, জামায়াত-বিএনপি’র স্থান হবে না। লুটেরা, দুবৃত্তায়নের বিরুদ্ধে যে শুদ্ধি অভিযান শুরু হয়েছে তা আমাদেরকে শুভ আলোর জ্যোতিতে পৌছে দিবে। তিনি বাঙালী জাতির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ সন্তান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও ১৫ই আগস্ট তার পরিবারের সকল শহিদদের প্রতি সশ্রদ্ধ সালাম ও শ্রদ্ধাঞ্জলি জ্ঞাপন করে বলেন, সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আমরা লড়ে যাবো।

আমাদের রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আদর্শ দেশরত্ন শেখ হাসিনা। ফরিদপুরে দলের নেতাকর্মীদের উপর হামলা, নির্যাতন বিষয়ে তিনি বলেন, যারা সুদুর প্রসারী চক্রান্ত করে এখানে এসেছিল তাদের ছদ্মবেশী চেহারা উন্মোচন হয়ে গেছে। অভিযান চলছে, অনেকে গ্রেফতার হয়েছেন, অনেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন, কারও রক্ষা নাই। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা শাশ্বত বিস্তৃত বৃক্ষের মত। একে নাশ করা সম্ভব নয়। তিনি বলেন, স্বাধীনতা বিরোধী যুদ্ধ অপরাধীদের কোন ষড়যন্ত্রই এদেশের মানুষ মেনে নিবে না। ফরিদপুরে জয় বাংলার অবস্থান আগেও সুদৃঢ় ছিল, আগামীতেও থাকবে। আমি আমার সাধ্যমতে নেতাকর্মীদের পাশে থেকে আমৃত্যু কাজ করে যাবো।

গত দুই দশক ফরিদপুর জেলা আ.লীগকে নানাভাবে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন দলীয় নেতাকর্মীদের দুঃখ, দুর্দশায় পাশে দাঁড়িয়েছেন তিনি। তার ঘনিষ্ঠ বন্ধু মরহুম হাসিবুল হাসান লাবলু, বর্তমান জেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মাসুদ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা মাহাবুবুর রহমান খানসহ অসংখ্য ত্যাগী নেতা রয়েছে। বর্তমানে ফরিদপুর জেলা আ.লীগের সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান খান করোনায় আক্রান্ত হয়ে স্কয়ার হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে লড়ছেন। তিনি তার সুস্থতায় সকলের কাছে দোয়া কামনা করেছেন। সেই সাথে তিনি যেন আবার সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আ.লীগের রাজনীতিতে মানুষের সেবায় কাজ করতে পারেন। ছাত্র জীবনে তুখোড় ছাত্রলীগের নেতৃত্বে ছিলেন। জীবনের সংগ্রামে দারিদ্রতার মেঘ ভেঙে স্বচ্ছলতার সকাল হবার সংকল্পে তিনি প্রবাসে নিজেকে প্রবেশ করান। হল্যান্ড, আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ ইউরোপিয়ান দেশগুলোতে সততা আর দক্ষতার মাধ্যমে একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী হয়েছেন। দেশপ্রেম আর মুক্তিযুদ্ধের রাজনৈতিক আদর্শ তাকে বারবার তাড়িত করেছে। প্রবাসে থেকেও তিনি ফরিদপুরের আ.লীগকে আর্থিক ও মানষিকভাবে উজ্জীবীত করেছেন।

গত ২০ বছর তিনি বিশ্বের খ্যাতিমান চিকিৎসক দল এনে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে হাজার হাজার আত্ম, দুঃস্থ মানুষের চিকিৎসা সেবায় পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি ধর্মান্ধতার অশুভ ছায়া থেকে বের হয়ে শহরের ধুলদী এলাকায় ২০ একর জমির উপর প্রতিষ্ঠা করেছেন ধর্ম নিরপেক্ষ এতিমখানা হল্যান্ড চিলড্রেন হাউস। সমাজসেবামূলক কর্মকান্ডের জন্য প্রতিষ্ঠা করেছেন ফরিদপুর ওয়েলফেয়ার ফাউন্ডেশন। মানুষের দুঃখ মোছা আর প্রতিকূল অবস্থার মাঝে একটু আনন্দ স্বচ্ছলতা তাকে তাড়িত করে। তিনি বলেন, ছদ্মবেশধারণ আর স্বার্থসিদ্ধির লক্ষ্য কখনো স্থায়ী হয় না। চেতনা এমন একটি বিষয় যে, হামাগুড়ি দেওয়া শিশুর মত মনোনিবেশ করে তা দূরন্ত ছুটে চলায় প্রতিষ্ঠা লাভ করে। আমরা অবিরাম ছুটে যেতে চাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দলীয় সভানেত্রী সম্মানিত শেখ হাসিনার রুদ্র বলায়।