২০১৪ সালের পরে নিজের ঘর থেকে বের হয়নি জেসন হোল্টন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম সানের একটি প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তিনি ব্রিটেনের সবচেয়ে স্থুলকায় ব্যক্তি। সম্প্রতি তিনি অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি সেবায় কল করেন।
পরে তাকে বেড রুমের দরজা ভেঙে ক্রেনের সাহায্যে বের করা হয়। এ কাজে যুক্ত ছিলেন ফায়ার সার্ভিসের ৩০ জন কর্মী। পরে তাকে বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়।
হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, ৩০ বছর বয়সী জেসনকে বেশি দিন বাঁচতে পারবে না তার হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা আছে। জেসনকে এখন লিম্ফোয়েডারের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে জেসম সবচেয়ে বেশি খুশি হয়েছে কারণ সে ছয় বছর পর তার শরীরে মুক্ত বাতাসে লাগিয়েছে এবং সেই মুক্ত বাতাসে নিঃশ্বাস নিতে পেরেছে।
ছোটবেলা থেকেই জেসম স্থূলকায় ছিলেন। তবে তার অবস্থা এতটা খারাপ ছিল না। তিনি নিয়মিত স্কুলে যেতেন, খেলাধুলায় অংশ নিতেন। অন্য শিশুদের মতো তারও একটা স্বাভাবিক শৈশব ছিল। কিন্তু ২০১৪ সালের পর থেকে তিনি ফাস্টফুডে বেশি আসক্ত হয়ে পড়েন। এখন তার ওজন ৭০০ পাউন্ড। নিজের পায়ে ভর দিয়ে হাঁটতে পারেন না।
জেসম তার নিজ দেশের সরকারকে খাবার অর্ডার দেওয়ার অ্যাপগুলো নিয়ন্ত্রণ করার আহ্বান জানিয়েছেন। তার সাথে ‘জাস্ট ইট’ নামের একটি অ্যাপের সঙ্গে চুক্তি ছিল। তারাই দীর্ঘ সময় ধরে জেসনকে বাসায় খাবার দিয়ে গেছে। জেসনের দাবি, এমন স্থূলতার পেছনে তার নিজের অবশ্যই ভূমিকা আছে। তবে খাবার অর্ডারের অ্যাপ হাতের নাগালে না থাকলে তার অবস্থা এতটা খারাপও হতো না।
ইংল্যান্ডের ক্যাম্বারলি শহরের বাসিন্দা জেসম এখন প্রতীক্ষা করছেন মৃত্যুর। তার দাবি, আমি এত বেশি খেয়েছি যে এক ইঞ্চিও নড়াচড়া করতে পারি না। জীবনে আমার আর করার কিছুই নেই। আমি এখন শ্বাস বন্ধের প্রতীক্ষায় দিন গুনছি।