ঢাকা, ১১ অক্টোবর, ২০২১ :
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় সকল বৈশ্বিক উদ্যোগে উন্নত দেশ বিশেষ করে জি-২০ ভুক্ত দেশগুলোকে সক্রিয়ভাবে নেতৃত্ব দিতে হবে। বিশ্ব নেতৃবৃন্দকে ক্ষতিকর গ্যাসের নিঃসরণ কমানোর লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করতে হবে।
আজ সোমবার বিকেলে ভুটানে অনুষ্ঠিত স্বল্পোন্নত দেশগুলোর মন্ত্রী পর্যায়ের সম্মেলনে তাঁর ঢাকাস্থ সরকারি বাসভবন থেকে অনলাইনে যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সম্মেলনে বিভিন্ন স্বল্পোন্নত দেশের পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ বক্তৃতা করেন।
শাহাব উদ্দিন বলেন, প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বৈশ্বিক গড় তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১ দশমিক ৫ ডিগ্রিতে সীমাবদ্ধ রাখতে ধনী দেশগুলোর সাথে সকল দেশেরই ন্যাশনালি ডিটারমাইন্ড কন্ট্রিবিউশান (এনিডিসি) ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধি করতে হবে।
পরিবেশমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ চলতি বছরের ২৬ শে আগস্ট হালনাগাদকৃত ও উন্নত এনডিসি জমা দিয়েছে যেখানে ২০৩০ সালের মধ্যে ২১ দশমিক ৮৫ শতাংশ কার্বন ডাই-অক্সাইড গ্যাসের নির্গমণ হ্রাসের উল্লেখ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের ন্যাশনাল এডাপটেশন প্ল্যান চূড়ান্ত করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। বিশ্বব্যাপী অভিযোজন লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণের বিষয়টি কপ-২৭ এ বিবেচনার জন্য কপ-২৬ এ একটি আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়া শুরু করা উচিত বলে বাংলাদেশ মনে করে।
শাহাব উদ্দিন বিদ্যমান সমস্যাগুলোর সমাধান করে প্যারিস জলবায়ু চুক্তি অনুযায়ী বার্ষিক ১০০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সহায়তা যাতে সহজে অনুন্নত দেশগুলো পেতে পারে সে বিষয়ে জিসিএফ এবং জিইএফ -কে নির্দেশনা দেয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, আর্টিকেল ৬ বিষয়ক আলোচনা চূড়ান্তকরণ এবং প্যারিস চুক্তি বাস্তবায়নের জন্য এসংক্রান্ত প্রয়োজনীয় বিধিমালা প্রণয়ন করা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর্টিকেল ৬ মেকানিজমে কার্যকরী অংশগ্রহণের জন্য স্বল্পোন্নত দেশগুলোর সক্ষমতা বৃদ্ধি করা উচিত।