• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৭শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ই মে, ২০২৪ ইং
ফরিদপুরে উচ্চ ফলনশীল বারি ৫ জাতের পেঁয়াজ চাষে সফল আলম ব্যাপারী

কে এম রুবেল, ফরিদপুর।

সারা বছর চাষযোগ্য নতুন জাতের পেঁয়াজ উদ্ভাবন করেছে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি)। উচ্চ ফলনশীল এ জাতটির নাম দেওয়া হয়েছে ‘বারি পেঁয়াজ-৫’।

উচ্চ ফলনশীল বারি-৫ জাতের পেঁয়াজ চাষ করে সফল হয়েছেন ফরিদপুর সদর উপজেলার নরসিংহদিয়া গ্রামের আদর্শ কৃষক মো: আলম ব্যাপারী। চলতি মৌসুমে তিনি ৩৩ শতাংশ জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে এলাকায় সাড়া ফেলে দিয়েছেন। আশে পাশের এলাকার চাষিরা আলম ব্যাপারীর ক্ষেত দেখতে আসছে তার মাঠে। চাইছেন পরামর্শ ও বীজ। আলম ব্যাপারীর সাফল্য দেখে অনেক কৃষক এ জাতের পেয়াজ চাষে আগ্রহ দেখাচ্ছে। আর এ জাতের পেঁয়াজ চাষে সহযোগিতা করছেন মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুর।

আলম ব্যাপারী জানান, চলতি মৌসুমে ৩৩ শতাংশ জমিতে বারি ৫ পেঁয়াজ চাষ করেছি। পেঁয়াজের ফলন হয়েছে বাম্পার। ৭ থেকে ৮টি পেয়াজে ১ কেজি হয়েছে। ৩৩ শতাশে সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ২৫ হাজার টাকা। আশা করছি ৩৩ শতাংশ জমি থেকে আমি ১০০ থেকে ১২০ মন পেঁয়াজ পাবো। আর আমাকে এ পেয়াজ চাষে সহযোগিতা করেছেন মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুর।

এদিকে পেঁয়াজের ঘাটতি মেটাতে এবং কৃষকদের মাঝে বারি ৫ জাতটির চাষ জনপ্রিয় করতে মঙ্গলবার মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ফরিদপুর এক মাঠ দিবসের আয়োজন করে।

‘বাংলাদেশে মসলা জাতীয় ফসলের গবেষণা জোরদারকরণ’ প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত কৃষক মাঠ দিবসে ৫০জন কৃষক-কৃষানী অংশগ্রহণ করেন।

মসলা গবেষণা উপ কেন্দ্র ফরিদপুরের উর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো: আলাউদ্দিন খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাঠ দিবসে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত থেকে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ ড. মো: হজরত আলী।

মাঠ দিবসে অন্যানের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগের প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম আহম্মেদ, মসলা গবেষণা উপকেন্দ্র ফরিদপুরের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মো: মুশফিকুর রহমান, আদর্শ কৃষক আলম ব্যাপারী।

মাঠ দিবসে বক্তারা বলেন, দেশে বর্তমানে পেঁয়াজের বার্ষিক চাহিদা ৩৫ লাখ মেট্রিক টন। আমরা উৎপাদন করছি প্রায় ২৬ লাখ মেট্রিক টন। প্রতি বছর ঘাটতির প্রায় ১০ লাখ মেট্রিক টন। পেঁয়াজ ভারতসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানী করতে হয়। ঘাটতি মোকাবেলা এবং উৎপাদন বৃদ্ধির জন্যই বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট বছরব্যাপী চাষের জন্য বারি পেঁয়াজ-৫ উদ্ভাবন করেছে। এ জাতটি একদিকে বছরব্যাপী চাষ করা যায়, অন্যদিকে অন্য জাতের তুলনায় বারি পিয়াজ-৫ এর উৎপাদন ২-৩ গুণ বেশি। বিঘা প্রতি অন্য জাতের পেঁয়াজের উৎপাদন যেখানে ৩০-৩৫ মণ, সেখানে বারি পেঁয়াজ-৫ এর উৎপাদন ৯০-১১০ মণ। তাই জাতটি চাষ করলে আপনারা লাভবান হবেন। দেশের পিঁয়াজের ঘাটতি মেটানোও সম্ভব হবে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।