মো.মনির হোসেন পিন্টু,চরভদ্রাসন প্রতিনিধিঃ
ফরিদপুরের চরভদ্রাসনে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় থানা পুলিশ মাত্র ৭২ ঘন্টার মধ্যে আদালতে অভিযোগ পত্র দায়ের করেছে।
ফরিদপুরের পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামানের সরাসরি তত্বাবধান ও নির্দেশনায় চরভদ্রাসন থানা পুলিশ তদন্ত শেষে আদালতে এ অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দিয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শেখ রফিক (৪৫), পিতা- শেখ সালাম, সাং- চর চানপুর কোলপাড়, থানা- সদরপুর, জেলা- ফরিদপুর থানায় হাজির হইয়া বিবাদী ১। লিয়াকত মৃধা (৩৫) ২। শওকত মৃধা (৩০) উভয় পিতা- মৃত গফুর মৃধা, ৩। লিলী বেগম (৫০) স্বামী- মৃত গফুর মৃধা, সর্ব সাং- দবিরউদ্দিন প্রামানিকের ডাঙ্গী, থানা- চরভদ্রাসন, জেলা- ফরিদপুরদের বিরুদ্ধে এই মর্মে এজাহার দায়ের করে।
তার মেয়ে সুবর্না আক্তার(২৫) কে ১নং বিবাদী লিয়াকত মৃধার সাথে গত ০৫ (পাঁচ) বছর পূর্বে ইসলামিক শরিয়ত মোতাবেক বিবাহ করে। বিবাহের পর হইতে আমার মেয়ে কে বিবাদীগন সকলে বিভিন্ন ভাবে যৌতুকের জন্য মারপিট করে।
আমার মেয়ের ০৪ বছরে একটি ছেলে সন্তান আছে। সন্তানের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করিয়া তাহাদের অত্যাচার নির্যাতন সহ্যকরিয়া আসিতেছে। বিবাদীগন বিভিন্ন সময় যৌতুকের জন্য আমার মেয়েকে মারপিট করিয়া আমার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরে আবার শালিশের মাধ্যমে নিয়ে আসে। এ ভাবে প্রায়ই আমার মেয়েকে যৌতুকের টাকার জন্য ২ ও ৩ নং বিবাদীর সহযোগিতায় ১নং বিবাদী আমার মেয়েকে মারপিট করে।
গত ইং ২০/০৫/২০২১ খ্রিঃ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫.০০ ঘটিকার সময় বিবাদীগন আমার মেয়েকে ২০০০০০/- টাকা আমার নিকট হইতে যৌতুক বাবদ আনিয়া দিতে বলে।
আমার মেয়ে উক্ত যৌতুকের টাকা আমার নিকট হইতে আনিয়া দিতে অস্বিকার করিলে বিবাদীগন সকলে মিলিয়া আমার মেয়ে সুর্বনা আক্তারের চুলের মুঠি ধরিয়া কিল ঘুষিসহ লাঠি দিয়া এলোপাথাড়ি ভাবে মারপিট করিতে থাকে।
পরে, শেখ রফিক গত ২৭/০৫/২১ইং বিকালে চরভদ্রাসন থানায় গিয়ে যৌতুকের জন্য মারপিট ও সহায়তা করার জন্য নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
মামলা দায়ের শেষে চরভদ্রাসন থানা (ভারপ্রাপ্ত) কর্মকর্তা ওসি মো. জাকারিয়া হোসেনের তত্বাবধানে ও নির্দেশনায় এসআই (নিঃ) তুহিন বালা ৭২ ঘন্টার মধ্যে উক্ত মামলার তদন্ত শেষে ফরিদপুর আদালতে চুড়ান্ত অভিযোগপত্র দাখিল করে।