৩ জানুয়ারি ২০২১ ইং, সোমবার, ফরিদপুর :

 দেশের ব্যাবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি ও হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ. কে আজাদ বলেছেন, পদ্মাসেতু চালু হওয়ার আগেই ফরিদপুরে শিল্প কারখানা গড়ে তোলার উদ্যোগ নেওয়া হবে, আর এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে অবহেলিত পদ্মার চরাঞ্চলের মানুষকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

আজ ফরিদপুরের বিভিন্ন এলাকায় শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। এ. কে আজাদ বলেন, শুধু কম্বল দিয়ে মানুষের অবস্থার পরিবর্তন করা যাবেনা, সে জন্যে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নতি করতে হবে। তিনি বলেন, পদ্মাসেতু এই অঞ্চলের মানুষের জন্যে আর্শ্বিবাদ স্বরুপ, সেতু উদ্বোধনের আগেই আমরা এই অঞ্চলে কল -কারখানা স্থাপন করে মানুষের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি আনতে চেষ্টা করবো।

রোববার ফরিদপুরে দ্বিতীয় দিনের মত ফরিদপুর সদর উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে। ১২ টি ইউনিয়নের মধ্যে শনিবার চার ইউনিয়নে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। রোববার দিনব্যাপী দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচীতে আরো চারটি ইউনিয়নে বিতরণ করা হয় কম্বল। আজ সোমবার ফরিদপুর সদর উপজেলার অপর ৪টি ইউনিয়নে কম্বল বিতরনের মাধ্যমে তিন দিনের এই শীতবস্ত্র বিতরণ কর্মসূচী সম্পন্ন হবে।

ফরিদপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে রবিবারের কম্বল বিতরণ অনুষ্ঠান গুলোতে প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি ও এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি এ. কে আজাদ। সাম্প্রতিক ফরিদপুরের আওয়ামী রাজনীতিতে নেতৃত্বের যে শূণ্যতার সৃষ্টি হয়েছিল, এই শীত বস্ত্র বিতরণ কর্মসূচির মধ্যে দিয়ে দলের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করে সেই অচল অবস্থা কাটতে শুরু করেছে। এই তিনদিনে সদর উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে প্রতিদিন ৪টি করে সভার আয়োজন করায় নেতাকর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উৎসাহ উদ্দিপনা। ফরিদপুর তথা দেশ বরেন্য ব্যক্তিত্ব এ কে আজাদকে কাছে পেয়ে উৎফুল্ল তারা।

রবিবার সকালে সদর উপজেলার চরমাধবদিয়া ইউনিয়নে, দুপুরে আলিয়াবাদ ইউনিয়নে, বিকেলে ডিক্রিরচর ইউনিয়নে ও সন্ধ্যায় নর্থচ্যানেল ইউনিয়নে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র হিসাবে কম্বল বিতরণ করা হয়।

এসব অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সুবল চন্দ্র সাহা, সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মাসুদ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ঝর্ণা হাসান, যুব লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ফারুক হোসেন, শারমিন গ্রুপের স্বত্ত্বাধিকারী ইসমাইল হোসেন, হা-মীম গ্রুপের পরিচালক বেলাল হোসেন, আওয়ামী লীগের নেতা শহিদুল ইসলাম নিরু, শাহ আলম মুকুল, মনিরুল হাসান মিঠু, মিয়া মঞ্জুর এলাহি পিরু, মুক্তিযোদ্ধা আবুল ফয়েজ শাহনেওয়াজ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক মাইনুদ্দিন আহমেদ মানু, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কে এম সেলিম, এ্যাড. বদিউজ্জামান বাবুল, জেলা পরিষদের সদস্য মুসা ফকির, কোতয়ালি আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক মোল্লা,কোতয়ালী আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সামচুল আলম চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা কাজী গোলাম মহিউদ্দীন তাসলিম, দিপক মজুমদার, মনির হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা আইভি মাসুদ, এ্যাড. জাহিদ ব্যাপারী, আবুল বাতিন, শওকত আলী জাহিদ, মনিরুজ্জামান মনির, সোহেল রেজা বিপ্লব, আবু নাঈম, সাংবাদিক রাজিব খান, এ্যাড. মিজানুর রহমান, ডিক্রিরচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান মিন্টু, চরমাধবদিয়ার সাবেক চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান খোকন মন্ডল, ফজলুর রহমান ফজল, এম এ জলিল, মাজেদ ফকির, রহমান ফকির   প্রমুখ।

এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি একে আজাদ বিভিন্ন সভায় তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী লীগ সব সময়  মানুষের পাশে থাকে, দেশের মানুষের যে কোন দুর্যোগে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে  এক যোগে কাজ করে। এখন শীত মৌসুম চলছে শীতার্তদের মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছি আমরা। শুধু দুর্যোগে নয়, মানুষের জীবন মান উন্নয়নে ও কর্মসংস্থান সৃস্টিতে নিরলসভাবে কাজ করছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. সুবল চন্দ্র সাহা তার বক্তব্যে বলেন, সম্প্রতি ফরিদপুরের আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যে শূণ্যতা বিরাজ করছিল, তা কেটে গিয়ে আজকের এই শীতবন্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানগুলোতে আওয়ামী লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মধ্যদিয়ে এক নতুন অধ্যয়ের সূচনা হলো। তিনি আরো বলেন, আপনারা এই মঞ্চে যাদের দেখছেন তারাই ফরিদপুরের প্রকৃত আওয়ামী লীগের কান্ডারী, এর বাইরে যদি কেউ বিচ্ছিন্ন ভাবে কিছু করে তবে তা, আওয়ামী লীগের কাছে গ্রহন যোগ্য নয়।