বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটি (পোল) মেরামত করবে কে?
এস চাঙমা সত্যজিৎ, স্টাফ রিপোর্টার
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের ৬ নং ওয়র্ডের জমিন ধন কার্বারী পাড়ায় বিদ্যুৎ লাইনের একটি খুঁটি গোড়ায় ভেঙ্গে যায়। দীর্ঘদিন ধরে মেরামত না করায় স্থানীয় বাসিন্দারা বাঁশ দিয়ে খুঁটিটি ধরে রেখেছে। বিদ্যুৎ বিভাগকে জানালেও কোন কাজ হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটি ধরে রাখার জন্য স্থানীয় মানুষেরা বাঁশের খুঁটি তিনটা দিয়ে রেখেছে। কখন কোন সময়ে এই বাঁশের খুঁটিগুলো ভেঙ্গে পড়ে তার নিশ্চয়তা কেউ বলতে পারছে না।
এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বিদ্যুৎ বিভাগকে ভাঙ্গা খুঁটির ব্যাপারে জানালে বিদ্যুৎ বিভাগ নাকি তাদের কাছ থেকে ১৫/২০ হাজর টাকা দাবি করে। এলাকাবাসীরা টাকা দিতে না পারায় ভাঙ্গা খুঁটিটি বাঁশের ঠেচ দিয়ে দাঁড়িয়ে রেখেছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটিটি মেরামত করবে কে? সরকার? না বিদ্যুৎ বিভাগ?? না জনগণ??? বিদ্যুৎ বিভাগের এই গাফিলতির জন্য ভাঙ্গা খুঁটির মেরমত করা যাচ্ছে না বলে অভিজ্ঞ মহলের ধারণা ।
বিদ্যুৎ বিভাগের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে। বিদ্যুতের নতুন সংযোগ করতে গেলে টাকা দিতে হয়। বিদ্যুতের খুঁটির (পোল) পরিবহনের খরচ দিতে হয়। বিদ্যুতের লাইন টানানোর সময় টাকা দিতে হয়। যার কাছ থেকে টাকা বেশি পাবে তার বা সেই লোকের বাড়ির দিকে চার লাইন তার সংযোগ করে দেয়। একটি এলাকায় জরীপ করে যতটা পোল বা খুঁটি থাকবে লাগানোর সময় ততটা খুঁটি বা পোল থাকবে ন। কথিত আছে, যেখানে ২০/২৫ টা পোল বা খুঁটি থাকবে সেখান থেকে ৫/৭ টা অন্যত্র ১৫/২০ হাজার টাকায় বিক্রি করে দেয়। বাদবাকী খুঁটিগুলো বসিয়ে দেয়। মোট কথা হলো বিদ্যুৎ বিভাগে টাকা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। টাকার জোয়ারে বিদ্যুৎ উন্নয়ন। টাকায় সব কিছু এখন মানুষের ধারণা।
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার পানছড়ি উপজেলায় বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে।
তবুও পানছড়ি উপজেলার লতিবান ইউনিয়নের জমিন ধন কার্বারী পাড়ায় বিদ্যুৎ লাইনের ভাঙ্গা খুঁটি বা পোল মেরামত বা পরিবর্তন করা যাচ্ছে না। দায়িত্ব কার? জনগণের?
না বিদ্যুৎ বিভাগের?? নাকি সরকারের??? এ প্রশ্ন এখন সকলের মুখে মুখে। তাই বিদ্যুতের ভাঙ্গা খুঁটি পরিবর্তনের জন্য এলাকাবাসীরা সরকারের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছেন।
