বর্তমান ও সাবেক চেয়ারম্যানের দন্দ্ব
মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি : ফরিদপুরের মধুখালীতে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে জোড়পূর্বক সড়ক নির্মাণের অভিযোগ পাওয়া গেছে এক উপজেলা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যানের বিরম্নদ্ধে। প্রতিকার
চেয়ে এঘটনায় এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের কাছে অভিযোগ দিয়েছেন। জানা যায়, উপজেলার গাজনা ইউনিয়নের রামকান্ত্মপুর গ্রামের শুকুর আলী মোল্যার বাড়ি থেকে ঈদগাহ পর্যন্ত উপজেলা পরিষদ থেকে এডিপির অর্থায়নে ২’শ ৪৫ মিটার এইচবিবি রাস্তা নির্মাণের কার্যাদেশ দেওয়া হয়। গত ২৭ জুন রাস্তার নির্মাণ কাজ শুরু করেন সংশিস্নষ্ট ঠিকাদার। কিন্তু উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি গাজনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন মন্ডল মানিক তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তািটি নিতে স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যক্তিগত জমির উপর দিয়ে রাস্তাটি নির্মাণের জন্য ঠিকাদারকে চাপ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।
এসময় স্থানীয়রা বাধা দিলে বাধ্য হয়ে কাজ বন্ধ করে দেন ঠিকাদার। পরে স্থানীয় এলাকাবাসী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানালে ওই সড়কের নির্মাণ কাজ বন্ধ করে দেন উপজেলা চেয়ারম্যান। কাজটি বন্ধ থাকায় স্থানীয় এলাকাবাসী জনদুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। রামকান্তপুর গ্রামের বাসিন্দা শুকুর মোল্যা ও আজগার আলী বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান আশরাফউদ্দিন মন্ডল মানিক তার বাড়ি পর্যন্ত রাস্তাটি নেওয়ার জন্য সরকারি হালট বাদ দিয়ে আমাদের জমির উপর দিয়ে রাস্তা নেওয়ার চেষ্টা করেন।
গাজনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বলেন, আমার কাছেও এমন অভিযোগ এসেছে। আমিও উপজেলা
চেয়ারম্যানের সাথে কথা বলেছি। তিনি বলেছেন বিষয়টি দেখছেন। মধুখালী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, ব্যক্তিগত জায়গার উপর দিয়ে রাস্ত্মা নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে এমন
অভিযোগ পেয়েছি। উপজেলা প্রকৌশলীকে বলা হয়েছে। বিষয়টি তদন্তপূর্বক সঠিক জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করা হবে।
এ ব্যাপারে গাজনা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আশরাফউদ্দিন মন্ডল মানিক জানান, রাস্তাটি একটি পুরাতন রাস্তা। আমি চেয়ারম্যান থাকাবস্থায় ২৫ বছর আগে সরকারি অর্থায়নে এ রাস্তাটিতে মাটির কাজ করি। বর্তমান উপজেলা পরিষদ জনগনের চলাচলে সুবিধার্থে ঈদগাহ পর্যন্ত এডিপির থেকে এইচ বিবি (ইটের রাস্তার) টেন্ডারের মাধ্যমে ঠিকাদার রাস্তাটির কাজ করছিল। এ রাস্তায় আমার ব্যক্তিগত জায়গাও আছে, সরকারি হালটের কিছু অংশ এবং শুকুরের একপাশে দিয়ে গেছে। শুকুর গংরা দীর্ঘ ৮৫ বছর ধরে তাদের পুকুরের পাশদিয়ে হালট দখল করে রেখেছে। কিন্তু বর্তমান গাজনা ইউপি চেয়ারম্যান বিষয়টি ভিন্নখাতে নেওয়ার চেষ্টা করছেন।