• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
বাঘায় কাল্পনিক ভাবে নাপার দাম বেড়েছে

বাঘা (রাজশাহী)প্রতিনিধি।

রাজশাহীর বাঘায় করোনা সংক্রমণের পাশাপাশি হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সর্দি জ্বর, কাশি। অনেকেই ভর্তি হচ্ছেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে। এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পরিচিত প্যারাসিটামল জাতীয় ঔষধের পর্যাপ্ত সরবরাহ না থাকায় বিপাকে পরেছে রোগীরা।

বাঘায় আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা, সেই সাথে হঠাৎ করে বেড়ে গেছে সর্দি জ্বরের প্রকোপ। সাধারণ মানুষ আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। করোনা কালিন সময়ে সর্দি জ্বরের প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে ডাক্তারগন প্যারাসিটামল গ্রুপের নাপা ঔষধই লিখে থাকে। কিন্তু ঔষধ কোম্পানির ( প্যারাসিটামল) নাপা ঔষধের সরবরাহ হঠাৎ করে কমে যাওয়ায় বাঘায় ফার্মেসি গুলোতে বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকা পাতা । মূলত ১পাতা নাপা (প্যারাসিটামল ) ওষুধের দাম ৮ টাকা ।

সরেজমিন গিয়ে পাওয়া যায়,উপজেলা সদরের কচি ফার্মেসী, রিদওয়ানুল্লাহ ফার্মেসী, ফারিয়া ফার্মেসী, দরগাহ ফার্মেসী, সাগর ফার্মেসী ও বঙ্গবন্ধু চত্ত্বরের জননী ফার্মেসী, স্বপন ফার্মেসী, ইসতেহাক ফার্মেসী, সিটি ফার্মেসী,মা মেডিসিন কর্নার ও মেডিসিন কর্নারে নাপা (প্যারাসিটামল) পাওয়া যায়নি। এমনকি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনের অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ ফার্মেসী গুলিতে পাওয়া যায়নি নাপা ট্যাবলেট।

বাঘা বাজারের মাজার গেটের সামনে শাহদৌলা ফার্মেসীতে ঔষধ কিনতে আসা আমোদপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের (৬৩) সাথে কথা হলে তিনি বলেন, এই ফার্মেসী থেকে গত সপ্তাহে ৮ টাকা পাতা নাপা কিনেছি ১২ টাকায়, আজ কিনলাম ১ পাতা নাপা ১৫ টাকায়।

এ ব্যাপারে শাহদৌলা ফার্মেসীর মালিক আব্দুল আলীম জানান,গত ১ মাসের ও বেশি সময় ধরে নাপা ট্যাবলেট সাপ্লাই নাই। বাহিরে থেকে কিনে আনি তাই নাপা ১৫ টাকা পাতা বিক্রি করছি।
এই নাপা (প্যারাসিটামল) উপজেলার মফস্বল বাজার গুলোর ফার্মেসীতে ২০ -২৫ টাকা পাতা বিক্রি হচ্ছে এমন অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে।

বেক্সিমকো ফার্মা’র বাঘা উপজেলার বিক্রয় প্রতিনিধি জুয়েল রানা (৪জুলাই)মুঠোফোনে বলেন, চাহিদা বেশি হওয়ায় গত ৭ দিন ধরে ঘাটতি পড়েছিল। তবে গত কাল শনিবার থেকে সব দোকানে চাহিদা অনুযায়ী সরবরাহ করা হয়েছে। বাজারে এখন আর নাপা (প্যারাসিটামল) এর কোন ঘাটতি নেই।

এ বিষয়ে এরিয়া ম্যানেজার আমির হোসেন মুঠোফোনে বলেন, কোম্পানি থেকে সরবরাহের কোন কোমতি নেই। চলমান লকডাইনেও কোম্পানির গাড়ি কোথাও চলাচলে বিঘ্ন ঘটেনি। তাই বাজারে নাপা (প্যারাসিটামল) ঘাটতি পড়ার কোন কারন নেই।

বাঘা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এর পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার রাসেদ আহমেদ বলেন, এই করোনাকালীন সময়ে বাঙালির যে অবস্থা, নাপা (প্যারাসিটামল) যার প্রয়োজন সে কিনেছে আর যার প্রয়োজন নেই সেও কিনে বাড়িতে জমিয়ে রেখেছেন। তাছাড়াও ঔষধ কোম্পানি চাহিদা মত তৈরি করে, এই করোনা কালে চাহিদা বেশি হওয়ায় সরবরাহ করতে পারছে না বলে আমার মনে হয়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পাপিয়া সুলতানা বলেন, এ ব্যাপারে আমার তেমন কিছু জানা নেই। তবে কোন ফার্মেসী অতিরিক্ত মূল্যে বিক্রয় করলে তার বিরুদ্ধে আইনী ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।

বাজারে নাপার দাম বেশী কেন? জনসাধারণের প্রশ্ন? আসছে আগামী পর্বে,,,,,

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।