৪ মে সোমবার দুপুর ১২ টায় ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারসহ তিনজনের বিরুদ্ধে স্থানীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় জিডি করেন তারা মিয়া (৫৫) নামে এক প্রতিবন্ধি। তারা মিয়া একই ইউনিয়নের উথলী গ্রামের মো. রাশেদ শেখের ছেলে।
উল্লেখ্য অভিযোগে সরকারি বিভিন্ন সুবিধা কার্ড পাওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য’র কাছে বারবার গেলে তারা ওই প্রতিবন্ধিকে কোন প্রকার সুবিধা দিবে না এবং অকথ্য গালিগালাজসহ মারার জন্য অপচেষ্টা করবে বলে জনতার সামনে প্রকাশ করে।
এ কারণে সম্প্রতি উপজেলার বানা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর, ওই ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের্র ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন ও তার চাচাতো ভাই মো. জাহাঙ্গীর মোল্যার বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এ অভিযোগ করে। ফলে তারা মিয়াকে জীবনের তরে মেরে ফেলার হুমকি দেয় অভিযুক্তকারীরা।
তিনি বলেন,গত এক বছর আগে ঢাকা থেকে বাড়ি এসেছে। তিনি একজন শারিরীক প্রতিবন্ধী। ফলে ঠিকমতো চলাফেরা ও কাজকর্ম করতে পারেন না। প্রতিবন্ধী হলেও তিনি সরকারি কোন ভাতা পায় না। তারা মিয়ার পরিবারে বৃদ্ধ বাবা, তিন মেয়েসহ ৬ জন সদস্যের বসবাস। এ সংসার তারা মিয়ার স্ত্রী সেলাই মেশিনে সেলাই করে পরিচালনা করেন। সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে সেই পথও বন্ধ হয়ে গেছে।
এ বিষয়ে তারা মিয়া বলেন, আমি এবং আমার পরিবার এ পর্যন্ত সরকারি কোন সহায়তা পায়নি। বারবার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও মেম্বারের নিকট বিষয়টি বলার পরেও কর্ণপাত করেনি। অবশেষে পেটের জ্বালায় গত বুধবার সরকারি হটলাইন ‘৩৩৩’ নাম্বারে ফোন দিলে ইউএনও ডেকে আমাকে খাদ্য সহায়তা করেন।
তারা মিয়া বলেন, ‘আমি চেয়ারম্যান ও মেম্বারের বিরুদ্ধে ইউএনও’র নিকট অভিযোগ করেছি বলে তারা আমাকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিচ্ছে এবং বর্তমান আমি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। তাই জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ সম্মেলন ও থানায় জিডি করেছি।
অভিযুক্ত জাহাঙ্গীর মোল্যা বলেন, হুমকি তারা মিয়াকে হুমকি দেয়নি। তবে গ্রাম্য কন্দন নিয়ে আমার ওপর অপব্যাখ্যা চালাচ্ছে।
ইউপি সদস্য গোলাম হোসেন বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সম্পন্ন ভিক্তিহীন। আমি তার সাথে আমি কোনরূপ খারাপ ব্যবহার করিনি।
জানতে চাইলে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হাদী হুমায়ুন কবীর বাবু বলেন, তারা মিয়া আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালাচ্ছে।
প্রসঙ্গঃ সংবাদ সম্মেলনের আগে তারা মিয়া প্রায় একশত লোক ভ্যান ও নসিমনযোগে উপজেলা ইউএনও’র অফিসে ক্যাম্পাসে তার অমানসিক জুলুমের কথা সাংবাদিক ও সুধীজনের কাছে তুলে ধরেন।
ওই প্রতিবন্ধি জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে জিডি করেছেন বলে ওসি রিজাউল করিম নিশ্চিত করেন।
অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রাশেদুর রহমান বলেন, নিরাপত্তা বিষয়টি থানা দেখবে। তবে তারা মিয়ার অভিযোগটি তদন্তের জন্য উপজেলা মৎস কর্মকর্তাকে নির্দেশ দিয়েছি । প্রতিবেদন সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।