মোঃ আলাউদ্দিন মন্ডল রাজশাহী
ছুটির দিন ছিলো শুক্রবার। এদিন রাজশাহীর বাজার ও মার্কেটগুলোতে ছিলো কেনাকাটার ধুম। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে ছিলো না ‘লকডাউন’ বা বিধিনিষেধের তোয়াক্কা। সড়কে যানবাহনের জটলা, বাজারে মানুষের ঢল। এমন অবস্থায় ইদের কেনা-কাটা সেরেছেন অনেকেই।সকালে রাজশাহীর মার্কেট শাপিংমল এবং বিপণিবিতানগুলোতে স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে ইদের কেনাকাটা করতে দেখা গেছে। করোনা মহামারির মধ্যেও মানুষের ইদের কেনাকাটায় স্বাস্থ্যবিধি নিয়ে ছিলো উদাসীনতা। দেখা গেছে অনেকেই নিজের ও পরিবারের জন্য আগের মতোই হন্যে হয়ে খুঁজছেন পছন্দের পোশাক।তবে মার্কেটগুলোর গেটে ছিলো না হ্যান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবস্থা। ছিলো না জিবানুনাশক স্প্রের ব্যবস্থা। ক্রেতা-বিক্রেতাদের মুখের মাস্ক এক মাত্র স্বাস্থ্যবিধির নমুনা। মার্কেটগুলোতে শুধু মাস্ক ছাড়া কোন ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে দেখা যায়নি ক্রেতা-বিক্রেতার কাউকে।সকালে নগরীর নিউমার্কেট, আরডিএ মার্কেট, বিসিক শিল্পপল্লী, সাহেব বাজার, রাণীবাজারে থাকা নামিদামী শপিং কমপ্লেক্স ও গণকপাড়া মার্কেট এলাকা ঘুরে ঈদ বাজার নিয়ে অভিন্ন চিত্র পাওয়া গেছে। শেষ মুহূর্তে সবখানেই ঈদ বাজার জমে উঠেছে।
আরডিএ মার্কেটে কেনাকাটা করতে আসা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত সাইফুল ইসলাম বলেন, মানুষ চলাফেরায় মাস্ক ব্যবহার ও সামাজিক দূরত্ব মানছে না। শপিংমলে ঠেলাঠেলি করে সবাই কেনাকাটা করছে। লকডাউন কাগজে-কলমে থাকলেও বাস্তবে কোনো প্রয়োগ নেই। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে প্রশাসনের সচেতনতামূলক কার্যক্রম দেখছি না।
রাজশাহী ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সেকেন্দার আলী বলেন, মার্কেটের অবকাঠামোগত কারণে অনেক ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে মেনে চলা সম্ভব হয় না। তবে ব্যবসায়ীরা সচেষ্ট আছেন। কারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে আবার হয়তো দোকানপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত আসতে পারে।রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস বলেন, স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করার লক্ষ্যে আমরা সরকারি নিয়ম-নীতি অনুযায়ী কাজ করছি। শপিংমল ও কাঁচাবাজারে থেমে থেমে মাইকিং করা হচ্ছে। কিন্তু ইদ ঘনিয়ে আসায় মানুষের ভিড় ক্রমশ বাড়ছে।
রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ঠিক রাখতে আমাদের কয়েকটি ম্যজিস্টেটসহ টিম নগরীর বিভিন্ন জায়গায় নজরদারি রেখেছে। আমরা মানুষকে সচেতন করছি।