চিরিরবন্দরে প্রতিবন্ধী কার্ডের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ,আটক ১
দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের উত্তর সুকদেপুর গ্রামের এক বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারীকে (৩০) ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পুলিশ গত শনিবার রাতে অভিযুক্ত ধর্ষক সিরাজুল ইসলামকে (৪৫) আটক করেছে।
পুলিশ ও এজহার সূত্রে জানা যায়, শারীরিক প্রতিবন্ধী স্বামীকে ‘প্রতিবন্ধী’ কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে প্রায় বাড়িতে আসতেন ইসবপুর গ্রামের নান্দেড়াই মনিষাপাড়ার মৃত ফজলুল হকের ছেলে মো. সিরাজুল ইসলাম। স্বামী-স্ত্রী দুজনেই প্রতিবন্ধী হওয়ায় তাদের দুর্বলতার সুযোগে গত মঙ্গলবার (২ জুন) রাত সাড়ে ৮টায় উপজেলার ইসবপুর ইউনিয়নের উত্তর সুকদেবপুর গ্রামে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী ওই নারীকে ধর্ষণ করে সিরাজুল ইসলাম। সিরাজুল ইসলামকে ধর্ষণের বিষয়ে সহযোগিতা করেন একই এলাকার মৃত নাজির উদ্দিনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম।
ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে ধর্ষক সিরাজুল ইসলাম বিষয়টিকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেন। ধর্ষণের বিষয়টি ধামাচাপা দিতে ব্যর্থ হলে গত শনিবার চিরিরবন্দর থানায় ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই বুদ্ধি প্রতিবন্ধী নারী নিজেই বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। গত শনিবার থানায় মামলা হলে ওইদিন রাতেই উপজেলার বেলতলী বাজার থেকে সিরাজুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের সহযোগি নান্দেড়াই মনিষাপাড়ার মৃত নাজির উদ্দিনের ছেলে মো. রফিকুল ইসলাম পলাতক আছে বলে পুলিশ জানায়।
এ বিষয়ে চিরিরবন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত কুমার সরকার বলেন, ‘উপজেলার ইসবপুর গ্রামের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণের মামলায় সিরাজুল ইসলামকে গত শনিবার রাতে বেলতলী বাজার এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় সিরাজুল ইসলামের সহযোগি রফিকুল ইসলাম পলাতক আছে। আমরা তাকেও আটক করার চেষ্টা করছি। রবিবার (আজ ৭ জুন) সকালে ধর্ষক সিরাজুল ইসলামকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
