• ঢাকা
  • শনিবার, ২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৪ঠা মে, ২০২৪ ইং
কোমর ব্যাথা দূর করার জন্য ঘরোয়া টোটকা

ছবি প্রতিকী

এখন বয়স কুড়ি হলেই আমাদের কোমরে ব্যথা শুরু হয়ে যায়। আমাদের ভুল ভাবে বসা, ভুল জীবনচর্যা এই সবের জন্যই কম বয়স থেকেই এই সমস্যা আজকাল দেখা যায়। কিন্তু সব সময়ে ডাক্তারের কাছে গিয়েই যে অনেক ওষুধ খেতে হবে তা কিন্তু নয়।

ঘরে থেকেও কিন্তু ঘরোয়া জিনিস দিয়ে আর কিছু নিয়ম মেনে আপনি কোমর ব্যথা কমিয়ে আনতে পারেন। শুধু আজকের আর্টিকেলের নিয়মগুলো মেনে চলুন।

১. ঠিক করে বসুন :আমাদের বসার অভ্যেস কিন্তু আমাদের কোমরে ব্যথা হওয়ার জন্য মূলত দায়ী। একটানা বসে থেকে কাজ করলে কোমরে ব্যথা হয়। তাই বসার মাঝে মাঝে একটু হেঁটে আসুন। আর পারলে আপনার চেয়ারে একটা মোটামুটি নরম বালিশ রাখুন। তার মধ্যে পিঠটা ভর দেওয়ান। এতে পিঠ সোজা থাকবে। কুঁকড়ে বা ঝুঁকে বসলে কোমর ব্যথা হয় বেশি।

২. কোমরে সেঁক :কোমরে সেঁক দেওয়া হল সবচেয়ে ভালো ওষুধ। তার মধ্যে আবার সবচেয়ে ভালো হল গরম জলের বা নুন হাল্কা গরম করে সেঁক দেওয়া। রাতে সব কাজ সেরে নেওয়ার পর জল হাল্কা গরম করে তার মধ্যে একটা তোয়ালে ভালো করে চুবিয়ে চিপে কোমরে সেঁক দিন। আর নয়তো একটা পুটলির মধ্যে বালি আর নয়তো নুন নিয়ে হাল্কা গরম করে কোমরে সেঁক দিন। এতে অনেক কমে যাবে কোমরের ব্যথা।

৩. আদা:আদায় অনেক পটাশিয়াম থাকে। পটাশিয়াম কিন্তু আমাদের হাড়ের জন্য খুব ভালো। তাই আদা খান ভালো করে। আপনি চাইলে চায়ের মধ্যে আদা দিয়ে খেতে পারেন। রান্নায় আদা বেশি করে দিয়ে খেতে পারেন। কিন্তু আদা বেশি করে আপনাকে খেতেই হবে।

৪. হলুদ :হলুদ খুব ভালো ভাবে হাড় শক্ত করে। হাড়ের ক্ষয় হলে কোমরে ব্যথা এমনিতেই বেড়ে যাবে। তাই হলুদ খেতে হবে। কাঁচা হলুদ খেতে পারলে সবচেয়ে ভালো। যদি না খেতে পারেন কাঁচা হলুদ, তাহলে দুধের সঙ্গে গুলে খান কাঁচা হলুদ। দুধও কিন্তু আমাদের হাড় মজবুত করার জন্য খুব দরকার। দুধ আমাদের ক্যালসিয়াম গঠনের জন্য খুব ভালো। তাই হলুদ আর দুধ মিশিয়ে অবশ্যই খান।

৫. পাতিলেবুর রস :পাতিলেবুতে অনেক ভিটামিন সি আছে। আর ভিটামিন সি আমাদের ব্যথা কমাবার জন্য খুব ভালো। তাই সকালে উঠে পাতিলেবুর রস গরমজলে দিয়ে নিয়ম করে খান। এটি কয়েক সপ্তাহে আপনার ব্যথা কমিয়ে দেবে। আর পড়ে ব্যথা যাতে না হয় তার জন্যও পাতিলেবু খুব ভালো।

৬. মেথি বীজ :মেথি বীজ আর দুধের পেস্ট ব্যথার জায়গায় লাগালে অনেক সহজে কোমরে ব্যথা থেকে মুক্ত হওয়া যায়। এর জন্য মেথি বীজ আগে একটু গুঁড়ো করে নিন। এর মধ্যে দুধ দিয়ে এবার ব্যথার জায়গায় লাগান। টানা সাত দিন এটি করুন। দেখবেন এতো ভালো উপকার আপনি এর আগে পাননি।

৭. ঠিক জুতো বাছুন :এটা শুনে অবাক হলেন তো! আসলে আমাদের পায়ের সঙ্গে তো কোমরের যোগ আছেই। আর পায়ের নিচে চাপ পড়ে জুতোর মাধ্যমে। তাই জুতো বাছবেন খুব নরম না, আবার খুব শক্ত না। জুতো খুব শক্ত হলে কিন্তু তাতে চাপ বেশি পড়বে পায়ে। আর সেই চাপ আপনার কোমরের স্নায়ুতে দিয়ে আঘাত করবে। তাই উপযুক্ত আরামদায়ক জুতো বেছে নিন।

৮. ইউরিক অ্যাসিড ঠিক আছে তো?:ব্যথা হওয়ার মূলে এই ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যাওয়ার হাত অনেক বেশি। তাই আগে পরীক্ষা করিয়ে নিন ইউরিক অ্যাসিড ঠিক আছে কিনা। যদি ইউরিক অ্যাসিড বেড়ে যায় তাহলে মুসুরির ডাল, টম্যাটো, কাবলি ছোলা এগুলি খাওয়া বন্ধ করে দিন কয়েক দিনের জন্য। এতে কোমরে ব্যথা বেশ খানিক কমে যাবে।

৯. নিয়মিত কি খাবেন:কোমরে ব্যথা কমানোর জন্য আপনাকে নিয়মিত কয়েকটা খাবার খেতে হবে। প্রথমেই আপনাকে খাবারের মধ্যে প্রচুর সবজি রাখতে হবে। ব্রকোলি, বিনস, গাজর, অঙ্কুরিত ছোলা অবশ্যই খেতে হবে। দুধ অবশ্যই রোজ খান। দুধ না সহ্য হলে দই। আর ডিম খেতেই হবে। ডিমে হাড়ের জোর বাড়বে। তার সঙ্গে অ্যালোভেরার জুস খেতে পারলে ভালো হয়।

১০. ঠিক ভাবে ঘুমোন :আমাদের পিঠে, কোমরে, ঘাড়ে ব্যথা হওয়ার মূলে কিন্তু এই ঘুমের বাজে ধরণ অনেকটা দায়ী। কীভাবে শোবেন রাতে? একদম পিঠ সোজা রেখে বালিশে মাথা দিয়ে শোবেন। বালিশ হবে খুব নরম না, খুব শক্ত না। বিছানাও কিন্তু হতে হবে না নরম, না শক্ত। তুলতুলে বালিশে বা বিছানায় শুলে পিঠে ব্যথা করবে, সঙ্গে কোমরেও। কুঁকড়ে, হাতের ওপর মাথা রেখে, অবিন্যস্ত হয়ে ঘুমোলে কোমরে ব্যথা বেড়ে যায়।

এই কয়েকটি ঘরোয়া জিনিস মেনে চললে আপনার কোমরে ব্যথা তো হবেই না। উলটে ব্যথা হলে কিন্তু কমেও যাবে ওষুধ না খেয়ে। তবে খুব ব্যথা হলে অনেক দিন ধরে, অবশ্যই ডাক্তার দেখান।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।