ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ফাইজারের ভ্যাকসিন করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ৯০ শতাংশ কার্যকর বলে প্রাথমিক পর্যালোচনায় উঠে এসেছে। এই প্রবণতা অব্যাহত থাকলে ভ্যাকসিনটি প্রত্যাশার চেয়েও বেশি কার্যকর হিসেবে প্রমাণিত হবে বলে মনে করছেন বিশেজ্ঞরা। খবর সিএনএন।
আজ সোমবার প্রকাশিত অন্তর্বর্তীকালীন বিশ্লেষণটিতে বলা হয়েছে, কভিড-১৯-এর ভ্যাকসিনের দুটি ডোজ (আসল ও প্লাসিবো) নেয়া ৪৩ হাজারেরও বেশি স্বেচ্ছাসেবীদের মধ্যে কেবল ৯৪ জন কভিড-১৯ পজিটিভ হয়েছেন। ভ্যাকসিন নেয়া ১০ শতাংশেরও কম স্বেচ্ছাসেবী কভিড-১৯ সংক্রমিত হয়েছেন। অন্যদিকে কভিড-১৯ পজিটিভ শনাক্ত হওয়া এই ৯৪ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশেরও বেশি সংক্রমণ এমন মানুষদের মধ্যে পাওয়া গেছে, যারা ভ্যাকসিনের পরিবর্তে প্লাসিবো পেয়েছিলেন।
ফাইজারের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) অ্যালবার্ট বোরলা একটি বিবৃতিতে বলেন, আজকের এই খবর বিশ্বজুড়ে চলা স্বাস্থ্য সংকটের অবসান ঘটাতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় অগ্রগতি অর্জনে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। আগামী সপ্তাহগুলোতে আমরা কয়েক হাজার অংশগ্রহণকারীর ওপর পরিচালিত ট্রায়ালের আরো কার্যকারিতা ও সুরক্ষা উপাত্ত প্রকাশ করার প্রত্যাশায় আছি।
ফাইজার জানিয়েছে, এর মাধ্যমে তাদের গবেষণা মাধ্যমিক পর্যায়ের শেষ ধাপে পৌঁছেছে। একটা ভ্যাকসিন গুরুতর কভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে মানুষকে সুরক্ষিত করে কিনা এবং ভ্যাকসিন কভিড-১৯ রোগের বিরুদ্ধে দীর্ঘমেয়াদি সুরক্ষা দিতে পারে কিনা এমনকি আগে সংক্রমিত রোগীর ক্ষেত্রে সুরক্ষা দেয় কিনা- তা পরীক্ষা করা হবে।
মার্কিন খাদ্য ও ওষুধ প্রশাসন (এফডিএ) জানিয়েছে, তারা যে কোনো করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন থেকে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ কার্যকারিতা আশা করে। সেক্ষেত্রে ফাইজার এফডিএর মান অনায়াসে উৎরে গেছে বলা চলে।