• ঢাকা
  • মঙ্গলবার, ২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৭ই মে, ২০২৪ ইং
মায়ের লাশ দেখে দুই মেয়ের মৃত্যু

ছবি প্রতিকী

বার্ধক্যজনিত কারণে মৃতুবরণ করেন মা পঞ্চমী বেওয়া (৯০)। মঙ্গলবার মাকে শেষ দেখা দেখতে আসেন ৬ মেয়ে। মাকে শেষ বিদায় জানিয়ে ছোট মেয়ে চৈতী রানী (৩০) এবং বড় মেয়ে স্বরজনি বালা (৫০) মায়ের মৃত্যুশোকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেয়ার পথে তারা দুজনই মারা যান।

বেদনাদায়ক এই ঘটনাটি ঘটেছে বোদা উপজেলার চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের খলিফাপাড়া এলাকায়। চন্দনবাড়ি ইউনিয়নের সদস্য জাকারিয়া হাবিব জানান, মায়ের মৃত্যু সংবাদ শুনে ছয় মেয়েই মঙ্গলবার সকালে বাপের বাড়ি ছুটে আসেন। সারাদিন মায়ের শোকে কাঁদতে থাকেন তারা। এসময় স্বজন এবং প্রতিবেশীরাও উপস্থিত ছিলেন।

বিকেলে শশ্মানে পঞ্চমির লাশ সৎকার শেষে শ্বশুরবাড়ি ফেরার সময় হঠাৎ ছোট মেয়ে চৈতী রানী বুকে ব্যাথা অনুভব করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়লে মাইক্রোবাসে করে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছিলেন স্বজনরা। ছোট বোনকে ডাক্তার দেখাতে একই মাইক্রোবাসে চৈতীর বড় বোন স্বরজনি বালাও যাচ্ছিলেন। যাবার পথে বড় বোনও অসুস্থ হয়ে পড়েন।

সন্ধ্যা ৭টার দিকে দুই বোনই মাইক্রোবাসে মৃত্যুবরণ করেন।
মৃত পঞ্চমী বেওয়া এলাকার প্রয়াত প্রাণ কিশোর বর্মণের স্ত্রী। পঞ্চমী ছয় মেয়ে ও দুই ছেলের জননী ছিলেন। তার ছয় মেয়েরই বিয়ে হয়েছে। এর মধ্যে মৃত স্বরজনি বালা বোদা উপজেলার ডাঙ্গাপাড়া এলাকার সুশীল রায়ের স্ত্রী।

ছোট মেয়ে চৈতী রানীর বিয়ে হয় ঠাকুরগাঁও জেলার ফারাবাড়ি এলাকার পলাশ চন্দ্রের সাথে।
পঞ্চমী বেওয়ার ছেলে মলিন চন্দ্র জানান, সকাল ৮টায় মা মারা যায়। খবর পাওয়ার পরপরই স্বজনদের সাথে বোনরাও আসে। বিকেলে সৎকার শেষে বোনরা বাড়ি ফেরার প্রস্তুতি নেয়। এমন সময় হঠাৎ ছোট বোনটা অসুস্থ হয়ে পড়ে। তাকে হাসপাতালে নেয়ার পথে বড় বোনটাও অসুস্থ হয়ে পড়ে। পথে মাইক্রোবাসে দুজনই মারা যায়। তারপরও আমরা হাসপাতালে নিয়ে যাই। কিন্তু ডাক্তার তাদের মৃত ঘোষণা করে।

এ ঘটনায় এলাকায় নেমে এসেছে শোকের ছায়া। বুধবার দুপুরে নিজেদের স্বামীর বাড়িতে ওই দুই বোনের সৎকার সম্পন্ন হয়েছে।

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

মে ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« এপ্রিল    
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০৩১
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।