ফরিদপুর জেলা প্রশাসকের প্রকাশ্য গণশুনানিতে সাধারণের কথা মনোযোগ সহকারে শুনছেন অতুল সরকার
নূরজাহান বেগম। অসুস্থ স্বামীকে নিয়েই থাকেন শহরের লক্ষীপুর বস্তিতে। ২ মেয়ে বিয়ে হয়েছে, থাকে স্বামীর বাড়ি। ১ ছেলে বিয়ে করে আলাদা থাকে। স্বামী অসুস্থ থাকায় কেন উপার্জন করতে পারে না।
নূরজাহান বেগমের বয়স একাত্তুর ছুইছুই। তারপরেও জীবিকার তাগিদে উপার্জনের জন্য কাজ করতেই হয়। শহরের ঝাড়ুদারের কাজ করে মাসে উপার্জন করে ৩ হাজার টাকা। এ টাকা দিয়ে দু’জনের খাবার, স্বামীর ঔষুধ কিনতেই শেষ হয়ে যায়, টিনের ছাপড়া ঠিক করবেন কি করে?
খবর পেয়ে এসেছিলেন ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকারের প্রকাশ্য গণশুনানীতে। সব খুলে বললেন তাকে। জেলা প্রশাসক নূরজাহান বেগমের সব কথা মনোযোগ দিয়ে শুনলেন। তার বিষয়টি তদন্তপূর্বক ঢেউটিন প্রদানের জন্য নির্দেশনা প্রদান করলেন জেলা প্রশাসক।
ঘটনাটি আজ বুধবার, ১১ নভেম্বর, ২০২০ খ্রিস্টাব্দের। প্রত্যেক বুধবারের গণশুনানীর মত যথারীতি আজও ফরিদপুর জেলা প্রশাসক অতুল সরকার সকাল ১০ টায় নিজ কার্যালেয়ের দ্বিতীয় তলায় গণশুনানী করেন। এ সময় বিভিণ্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের সমস্যা সমাধানের জন্য উপস্থিত হন।
সাধারণত জেলা প্রশাসকের অফিস কক্ষে প্রতি বুধবার গণশুনানী হয়ে থাকে। কিন্তু ফরিদপুরের জেলা প্রশাসক অতুল সরকার গতানুগতিকতা পরিহার করে গত অক্টোবর থেকে অফিস কক্ষ ছেড়ে প্রকাশ্যে গণশুনানীর আয়োজন করে আসছেন। প্রতিটি গণশূনানীতে মাসে প্রায় অর্ধ হাজার সমস্যাগ্রস্থ মানুষ অংশগ্রহণ করে সমাধান পেয়ে থাকেন।