ফরিদপুর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ (সগবি), বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনষ্টিটিউট (বারি), এর আয়োজনে করোনা প্রতিরোধে পুষ্টি নিরাপত্তায় বসতবাড়ীতে কৃষি প্রযুক্তির উপর কৃষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
গতকাল রবিবার সরেজমিন অফিস প্রাঙ্গনে এই প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন বরিশাল আঞ্চলিক কৃষি গবেষণা কেন্দ্র, বারি, এর মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, মোঃ রফি উদ্দিন। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি, গাজীপুর কৃষি গবেষণার মহাপরিচালক এবং বঙ্গবন্ধু জাতীয় কৃষি পুরস্কার ১৪২২ প্রাপ্ত ড. মো. নাজিরুল ইসলাম।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ফরিদপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক কৃষিবিদ মো. রিফাতুল হোসাইন, বগুড়া মসলা গবেষণা কেন্দ্রের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. হামিম রেজা। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সগবি, বারি’র প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, ড. সেলিম আহম্মেদ, সগবি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা এ.এফ.এম. রুহুল কুদ্দুস।
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ড. সেলিম আহম্মেদ। তিনি বলেন করোনা রোগ প্রতিরোধে বসতবাড়ীতে নিরাপদ ও পুষ্টি সমৃদ্ধ কৃষি প্রযুক্তির উপর কৃষক প্রশিক্ষণের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে অবগত করেন। তিনি আগত সম্মানিত অতিথিদের কৃষক প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনের জন্য ধন্যবাদ জানান।
অতিথিবৃন্দ তাদের বক্তব্যে বলেন বসতবাড়ীর পতিত জায়গাগুলো উপযুক্ত মডেল ব্যবহার করে বছরব্যাপী সবজি ও ফল চাষের আওতায় এনে সবজি ও ফল উৎপাদন বৃদ্ধি করা যায়। যাতে কৃষক তার পারিপারিক পৃষ্টি চাহিদা পূরণ করার পাশাপাশি অতিরিক্ত উৎপাদিত সবজি ও ফল বাজারে বিক্রি করে লাভবান হতে পারে। এছাড়াও চাহিদা অনুযায়ী মাছ, মুরগী, গরু, ছাগল পালন করেও কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারেন।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সংশ্লিষ্ট বৈজ্ঞানিক সহকারী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মী। অনুষ্ঠানে মোট ২০ জন কৃষক ও কিষাণী অংশগ্রহন করেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে কারিগরী পর্বে পাওয়ার পয়েন্ট এর মাধ্যমে তাত্ত্বিক ক উপস্থাপনা দেখানো হয়। বছরব্যাপী বসতবাড়ীর বিভিন্ন স্থানে জৈব পদ্ধতিতে শাক সব্জি ও ফলজ গাছ লাগানোর মডেল, ফসলের কৃষিতাত্তি¡ক ব্যবস্থাপনা যেমন জৈবসার, সেচ ও পোকা দমন, ফসল সংগ্রহ প্রযুক্তি, হাঁসমুরগী. গরু-ছাগল পালন, মাছ চাষ সম্পর্কে বিভিন্ন বক্তা আলোচনা করেন। বক্তব্য প্রদান শেষে প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।