সেনাবাহিনীতে চাকরি দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগে প্রতারক চক্রের এক সদস্য গ্রেফতার হয়েছে। এ কাজের জন্য চক্রটি গ্রামের সহজ সরল ব্যাক্তির কাছ থেকে মিথ্যা তথ্য প্রদানের মাধ্যমে চাকরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ২১৫০০০০/ টাকা আত্মসাৎ করেছে এ চক্রটি ।
প্রার্থীদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বিভিন্ন গোপনীয় স্থানে নিয়োগ প্রার্থীদের লিখিত পরীক্ষা ও মেডিকেল চেকআপ সম্পন্ন করে নিয়োগপত্র প্রদান করে। পরে নিয়োগপত্র নিয়ে কর্মস্থলে যোগদান করতে গেলে নিয়োগ প্রাপ্তরা জানতে পারে যে, তাদের দেয়া নিয়োগপত্র গুলো ভুয়া। নিয়োগ পাওয়া জনৈক এক ব্যাক্তির পিতা বাদী হয়ে কুষ্টিয়া সদর থানায় গত ১২/০১/২০২০খ্রিঃ ৪০৬/৪২০/৪৬৭/৪৭১ ধারায় পিসি মামলা দায়ের করেন যার নং১৬ ।
সাক্ষীকে আসামী হিসেবে গ্রেফতার করে আদালতে স্বীকারোক্তি মূলক জবানবন্দী সূত্রে
জানা গেছে, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে চাকুরী দেওয়ার কথা বলে ২১৫০,০০০/ একুশ লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা গ্রহন ও প্রতারণা মূলক অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে বাদী হয়ে মামলা করেন মোঃ মুরাদ আলী, পিতা মৃতঃ আব্দুল মান্নান সাং ভেদামারী,থানা মিরপুর, জেলা কুষ্টিয়া।
উক্ত মামলায় আসামী করেন সোহরাব হোসেন (৪১) পিতা আব্দুল লতিফ পাটোয়ারি, সাং সকদীরামপুর, থানা: ফরিদগঞ্জ জেলা: চাদপুর। উক্ত মামলায় মোঃ আশরাফুল ইসলাম (৩৭) পিতা : মোঃ জহির উদ্দিন সাং বাশঁগ্রাম, থানা কুমারখালী জেলা কুষ্টিয়াকে মামলার এজাহারে সাক্ষী হিসাবে উপস্হাপন করা হয়। তদন্তকালে প্রাপ্ত সাক্ষ্য প্রমানের ভিত্তিতে জানা যায়, বর্ণিত সাক্ষী মোঃ আশরাফুল ইসলাম আসামী সোহরাব হোসেনের সাথে যোগসাজশ রয়েছে এবং আত্নসাৎকৃত টাকার ভাগ গ্রহন করেছে। তাকে তদন্তকালে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে ঘটনায় জড়িত থাকার কথা ও নগদ ১০০,০০০/ (এক লক্ষ) টাকা গ্রহনের কথা স্বীকার করেন এবং জড়িত অন্যান্য আসামীদের বিষয়েও তথ্য প্রদান করেন।
তৎপ্রেক্ষিতে তাকে সাক্ষীর পরিবর্তে আসামী হিসাবে গ্রেফতার পূর্বক অদ্য ১১-০৬-২০২০ খ্রিঃ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়। উক্ত আসামী বিজ্ঞ আদালতে ফৌঃ কাঃ বিঃ ১৬৪ ধারামতে নিজেকে জড়িয়ে ঘটনার স্ব-বিস্তারিত বিবরনসহ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী প্রদান করেছে। এবিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা প্রতাপ কুমার সিংহর সাথে কথা হলে তিনি জানান যে মামলাটি তদন্তনাধীন রয়েছে।