পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীতে কোরবানির পশুর হাট বসতে না দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পাশাপাশি লঞ্চে যাত্রী বহন করলে ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারিও দেয়া হয়েছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সভাপতিত্বে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত এক সভায় এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফ মাহমুদ অপু স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়েছে, পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় একটি গাইডলাইন তৈরি করছে। গাইডলাইন বাস্তবায়নের জন্য আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে। রাজধানীর বাইরে পশুর হাট বসানোর জন্য স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ও সিটি কর্পোরেশন ব্যবস্থা নেবে। তবে এবছর অনলাইন কেনাকাটার ওপর গুরুত্ব দিতে বলা হয়েছে।
পশুর হাটে স্বাস্থ্যবিধি ইজারাদারদের নিশ্চিত করতে হবে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইজারাদারদের ব্যবস্থাপনায় পশুর হাটের প্রবেশপথে হাত ধোয়ার ব্যবস্থা ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে। ক্রেতাদের মাস্ক পরিধান করে হাটে প্রবেশ করতে হবে।
হাটে বুথ রাখার পাশাপাশি বেশ কিছু নির্দেশনা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে রয়েছে- হাটের কাছে ব্যাংক বুথ স্থাপন করা, পশুবাহী ট্রাক কোন হাটে যাবে ট্রাকের সামনে এরকম একটি ব্যানার লেখা থাকতে হবে। পশুর ট্রাক অন্য কোথাও থামানো যাবে না। পশুবাহী কোনো গাড়ি রাস্তায় থামানো যাবে না। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিবারের মতো জাল নোট, চাঁদাবাজি, অজ্ঞান ও মলম পার্টি থেকে ক্রেতা এবং বিক্রেতাকে নিরাপত্তা দেবে।
ঈদযাত্রায় লঞ্চে অতিরিক্ত যাত্রী বহন করলে ব্যবস্থা নেয়ার সিদ্ধান্তও হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সভায়। বলা হয়েছে- নদীপথে ফেরি, লঞ্চ ও জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করা যাবে না। অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন করলে কোস্ট গার্ড ও নৌ-পুলিশ আইনগত ব্যবস্থা নেবে। নদীপথে প্রবাহিত ট্রলার যাতে অতিরিক্ত বোঝাই না হয়, সেদিকে কোস্ট-গার্ড ও পুলিশ নজরদারি করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, গার্মেন্টস-ফ্যাক্টরি অন্যান্য বারের চেয়ে কম সময়ের জন্য বন্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে সভায়। পাশাপাশি শ্রমিকদের বেতন-বোনাস যথাসময়ে পরিশোধে বিজিএমইএ এবং কারখানার মালিকদের ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানানো হয়েছে।