মোঃ রমজান সিকদার, ভাঙ্গা(ফরিদপুর)প্রতিনিধি-১৪/০৬/২০২১
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার মানিকদাহ ইউনিয়নের খাকান্দা নাজিরপুর গ্রামে সোমবার সকালে দুদল গ্রাম বাসির মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। আধিপত্যকে কেন্দ্র করে ঘন্টাব্যাপি চলা সংঘর্ষে ৩০ গ্রামবাসি গুরুত্বর আহত হয়েছে। এসময় সংঘর্ষে লিপ্ত থাকা জনগন ২০টি বসতঘর ও বেশ কয়েকটি দোকানপাট ব্যাপক ভাংচুর করে মালামাল লুটপাটের অভিযোগ উঠেছে। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সৈয়দ লুৎফর রহমান বলেন, এলাকার আধিপত্যকে কেন্দ্র করে সকালে দুদল গ্রামবাসি দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। খবর পেয়ে ভাঙ্গা ও সদরপুর থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছে লাঠিচার্জ করে গ্রামবাসিকে ছত্রভঙ্গ করে দেই।
এসময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ঘটনাস্থল থেকে ১৩ গ্রাম বাসিকে আটক করি। পরবতর্ী কোন ধরনের ঘটনা এড়াতে গ্রামটির মোড়ে মোড়ে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন পুলিশের অনুকুলে রয়েছে। সংঘর্ষে গুরুত্বর আহতরা হলো, জাহিদ মীর, লালচান, আসাদ শরীফ, নুরআলম সেক, ইউসুফ সেক, ওসমান মৃধা, রুমি সর্দার, স্বপন তালুকদার, জামাল মোল্লা, ছরোয়ার ব্যাপারী, বাচ্চু মুন্সি, নিজাম সেক, জাহিদ সেক, সুলতান মাতুব্বর, তৈয়াব কারিকর, মনি মিয়া, খায়রুল মিয়া। আহতদের স্থানীয় জনতা উদ্ধার করে ভাঙ্গা, সদরপুর ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
জানা গেছে, খাকান্দা নাজিরপুর গ্রামের সাবেক ব্যাংকার আবুল কালাম মোল্লা ও একই এলাকার সুলতান মাতুব্বর, এয়াকুব মিয়া ও করিম মাতুব্বরের সাথে এলাকার আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে বেশ কিছু দিন যাবৎ মনোমানিল্য চলছে। ব্যাংকার আবুল কালাম মোল্লা জানায়, আমার ভাতিজা অনিক মোল্লাকে রোববার বিকালে পুখুরিয়া বাজার হতে বিপক্ষ গ্রুপের শুভ ছুরিকাঘাত করে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করে তার পিতা হারুন মোল্লা ভাঙ্গা থানায় একটি মামলা দায়ের করে। মামলার খবরে বিপক্ষ দল ক্ষিপ্ত হয়ে সোমবার সকালে সুলতান মাতুব্বরের শত শত লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অর্তকিত ভাবে আমাদের ১৬ টি বসতঘর ও রাস্তার পাশে ৪টি দোকানঘর ব্যাপক ভাংচুর করে মালামাল লুটে নেয়। খবর পেয়ে আমাদের লোকজন বাধা দিলে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। পুলিশ এসে আমাদের কিছুটা নিরাপত্তা দিলেও তার আগেই সুলতান মাতুব্বরের লোকজন তান্ডব চালিয়ে চলে যায়।
বিষয়টি নিয়ে সুলতান মাতুব্বর, এয়াকুব মিয়া ও করিম মাতুব্বরের সাথে যোগেেযোগের চেষ্টা করলে তারা এলাকা থেকে সটকে পড়ে।