জাতীয় কংগ্রেসের প্রায় ১ বছর পর ২০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন যুবলীগ।
শুদ্ধি অভিযানে সবচেয়ে বেশি আলোচনায় আসা যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসে গত বছরের ২৩ নভেম্বর তিন বছরের জন্য নেতৃত্বে আসেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা শেখ ফজলুল হক মনির ছেলে শেখ ফজলে সামস পরশ। তার সঙ্গে সাধারণ সম্পাদক হন যুবলীগের ঢাকা উত্তরের সভাপতি মাইনুল হোসেন খান নিখিল।
এক বছরের মাথায় শনিবার সন্ধ্যায় যুবলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষিত হয়।
প্রেসিডিয়াম সদস্যের তালিকায় আছেন : অ্যাডভোকেট মামুনুর রশিদ, মঞ্জুর আলম শাহীন, আবু আহমেদ নাসিম পাভেল, শেখ সোহেল উদ্দিন, ডা. খালেদ সওকত আলী, শেখ ফজলে ফাহিম, মুজিবুর রহমান চৌধুরী নিক্সন এমপি, জুয়েল আরেং এমপি ও মো. আনোয়ার হোসেন।
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে ঠাঁই পেয়েছেনÑ মো. রফিকুল আলম জোয়ার্দার, মতিউর রহমান বাদশা, সুব্রত পাল, বদিউল আলম ও শেখ ফজলে নাঈম।
সাংগঠনিক সম্পাদক পদে ঠাঁই পেয়েছেন : কাজী মো. মাজহারুল ইসলাম, হেলাল উদ্দিন, সাইফুর রহমান সোহাগ, জহির উদ্দিন খসরু, সোহেল পারভেজ, শহিদুল হক রাসেল, মশিউর রহমান চপল, সামীম আল সাইফুল সোহাগ ও প্রফেসর ড. রেজাউল কবির।
প্রচার সম্পাদক জয়দেব নন্দী, দফতর সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক মো. জহিরুল ইসলাম মিল্টন, অর্থ সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন, শিক্ষা প্রশিক্ষণ ও পাঠাগার বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার আলী আসিফ খান রাজীব, আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সাইদুল হক সুমন, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক কাজী সারোয়ার হোসেন, ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক মো. সাদ্দাম হোসেন পাভেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. শামীম খান, তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক সম্পাদক মো. শামসুল আলম অনিক, সাংস্কৃতিক সম্পাদক বিপ্লব মুস্তাফিজ, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. মো. ফরিদ রায়হান, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক মীর মো. মহি উদ্দিন, জনশক্তি ও কর্মসংস্থান বিষয়ক সম্পাদক শাহীন মালুম, ক্রীড়া সম্পাদক মো. নিজামউদ্দিন চৌধুরী পারভেজ, পরিবেশ সম্পাদক মো. হারিস মিয়া শেখ সাগর, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল হাই, কৃষি ও সমবায় সম্পাদক অ্যাডভোকেট. মো. হেমায়েত উদ্দিন মোল্লা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক মো. আব্দুল মুকিত চৌধুরী, ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মাওলানা খলিলুর রহমান সরকার, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মুক্তা আক্তার, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আদিত্য নন্দী, উপদফতর সম্পাদক মো. দেলোয়ার শাহজাদা, উপ-গ্রন্থনা ও প্রকাশনা সম্পাদক অ্যাডভোকেট শেখ নবীরুজ্জামান বাবু।
শনিবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অনুমোদিত পূর্ণাঙ্গ কমিটি আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের কাছে হস্তান্তর করেন। যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল বলেন, আমাদের সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভানেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে আমরা কমিটি জমা দিয়েছিলাম। অনুমোদনের পর আজ (শনিবার) বিকালে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের ভাই আমাদের কাছে সেই অনুমোদিত কমিটি হস্তান্তর করেছেন।
স্বাধীনতার পরপরই ১৯৭২ সালের ১১ নভেম্বর যুবকদের সংগঠিত করার লক্ষ্য নিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশে যুবলীগ গঠন করেন তার ভাগ্নে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক শেখ ফজলুল হক মনি। ১৯৭৪ সালে যুবলীগের প্রথম কংগ্রেসে তিনিই চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
সর্বশেষ ২০১২ সালে ষষ্ঠ কংগ্রেসে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পান শেখ মনি ও শেখ সেলিমের ভগ্নিপতি ওমর ফারুক। তারপর ছয় বছর নির্বিঘ্নে কাজ করে এলেও গত বছর ক্যাসিনো কাণ্ডে বড় ধাক্কা খান ওমর ফারুক চৌধুরী; সেই সঙ্গে সমালোচনায় নাকাল হয় যুবলীগ। এরপর সংগঠনটির অনেকেই ক্যাসিনো কাণ্ডসহ নানা অভিযোগে কারাগারে আছেন। অনেকেই সংগঠন ত্যাগ করে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।