চরভদ্রাসন (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :- ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সদর ইউনিয়নে ফাজেলখার ডাঙ্গী গ্রামে পদ্মা পারে অজ্ঞাত পরিচয়হীন মানষিক ভারসাম্যহীন এক পাগলী (২৫) এর নবজাতক ছেলে পথশিশু জন্ম নেওয়ার পর যাবতীয় দায়িত্ব নিলেন ইউএনও তানজিলা কবির ত্রপা। গত শুক্রবার সকাল ১১ টায় পিতৃ পরিচয়হীন শিশুটি জন্মের খবর শুনে দুর্গম পদ্মা পারে ছুটে যান ইউএনও। তিনি নবজাতক শিশুসহ প্রসূতি পাগলী মাকে স্হানীয় মহিলা সংরক্ষিত ইউপি সদস্য আছিয়া খাতুন ও ইউপি মেম্বার বাবুল মোল্যার হেফাজতে রাখেন। একই সাথে তিনি শিশুটিকে শীতবস্ত্র প্রদান, শিশুখাদ্য গুড়োদুধের ব্যবস্হা, সুচিকিৎসার জন্য দফায় দফায় স্বাস্হ্য কর্মী দিয়ে পরিচর্চা, প্রয়োজনীয় ঔধষ সরবরাহ এবং প্রসূতী পাগলী মায়ের সুরক্ষার জন্য ওই গ্রামে শহীদ খানের বাড়ীতে একটি ভাঙাচুরা দোচালা টিনের ঘর প্রায় ১৫ হাজার টাকা ব্যায়ে মেরামত করে বসবাসযোগ্য করে গড়ার ব্যবস্হা করেছেন। একই দিন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) মোঃ জিল্লুর রহমান, চরভদ্রাসন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ জিয়ারুল ইসলাম ও ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ আজাদ খান উক্ত প্রসূতি পাগলী মা ও শিশুটিকে পরিদর্শন করেছেন।
উপজেলা সদর ইউনিয়নের ৪, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য আছিয়া খাতুন সহ স্হানীয় সূত্র জানায়, প্রায় দেড় মাস আগে উক্ত গ্রামের পদ্মা পারে এলাকাবাসী অজ্ঞাত এক মহিলা পাগলীকে অসুস্হ্য অবস্হায় দেখতে পায়। পরে গর্ভবতী পাগলীকে পার্শ্ববতী মৃত মনির উজ্জামান ওরফে মুনা মাষ্টারের ছেলে শহীদ খানের বাড়ীর একটি পরিত্যাক্ত লাকড়ীর ঘরে তাকে থাকতে দেওয়া হয়। গত শুক্রবার সকালে ওই পাগলী পদ্মা পারে ঘুরাফেরা করছিল। হঠাৎ প্রসব বেদনা উঠলে সে বিবস্ত্র অবস্হায় পদ্মা পার থেকে বসতি এলাকায় ছুটে আসে। এ সময় স্হানীয় মহিলারা শহীদ খানের উক্ত লাকড়ীর ঘরে নিয়ে পাগলীকে প্রসব করান। খরব শুনে ইউএনও দুর্গম পদ্মা পারে ছুটে গিয়ে প্রসূতি পাগলী মা ও নবজাতকের যাবতীয় দায়িত্ব গ্রহন করেন। স্হানীয়রা নবজাতক ছেলে শিশুর নাম রেখেছেন আব্দুল্লাহ ইসলাম এবং প্রসূতি পাগলী মাকে নীলিমা নামে ডাকছেন বলে জানা যায়।
শনিবার উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা জানান, ” নবজাতক শিশুটিকে দত্ত্বক নিয়ে লালন পালন করার জন্য এলাকার বেশ ক’য়েকজন আবেদন করে চলেছেন। কিন্ত রোববার উপজেলা শিশু কল্যান বোর্ডের সদস্যদের নিয়ে সভা করে আমরা আবেদনের ভিত্তিতে নবজাতকের অভিভাবক নির্ধারন করবো”।