• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ ইং
সালথায় বিয়ের প্রলোভনে মাদ্রাসা ছাত্রী ধর্ষণ

ছবি প্রতিকী

মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:

ফরিদপুরের সালথায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে ১৫ বছর বয়সী এক মাদ্রাসা ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ধর্ষণের সময় ধর্ষককে ধরে আটকে রাখা হলেও মাতব্বরা ওই ছাত্রীর সাথে বিয়ের আশ্বাস দিয়ে তাকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়। পরবর্তিতে ধর্ষকের পরিবার বিয়ের বিষয়টি মেনে না নিলে বুধবার ধর্ষণের আলামত সংগ্রহের জন্য ওই ছাত্রীকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

ঘটনাটি সালথা উপজেলার মাঝারদিয়া ইউনিয়নে ঘটে। ধর্ষণের শিকার ওই মেয়েটি স্থানীয় একটি দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে।

ধর্ষিতা ওই মাদ্রাসা শিক্ষার্থীর বাবা অভিযোগ করে বলেন- গত ১২ জুন রবিবার রাতে আমার মেয়ে তার ভাবির কাছে ঘুমিয়ে ছিল। রাত ১০ টার দিকে তার ভাবি প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ঘর থেকে বের হয়। এই সুযোগে প্রতিবেশি ফারুক মোল্যার ছেলে আব্বাস মোল্যা (২৪) ঘরে ঢুকে মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। ধর্ষণের সময় মেয়ের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসে। তারা ঘরে ঢুকে ওই ছেলেকে আটক করে। পরে ওই রাতেই স্থানীয় মাতব্বররা সালিশ বৈঠক বসিয়ে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেয়ার আশ্বাস দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, ঘটনার ৪ দিন পর মাতব্বররা এসে আমাকে বলেন’ মিমাংসা সিদ্ধান্ত মানছে না ছেলের পরিবার। আপনার যা ইচ্ছা তাই করেন। পরে আমি বাধ্য হয়ে ডাক্টারী পরিক্ষার জন্য বুধবার সকালে মেয়েকে নিয়ে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করি।

মো. ফারুক হোসেন ও নাঈম মুন্সী নামে স্থানীয় দুই ব্যক্তি জানান- অভিযুক্ত আব্বাস মোল্যা সিঙ্গাপুর থাকে। কিছুদিন আগে সে দেশে আসেন। দীর্ঘদিন ধরে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। মূলত প্রেমের ফাঁদে ফেলেই তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে শুনেছি। ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে ঘটনাটি মাতব্বরা মিমাংস করে দিলেও ছেলে পক্ষ এখন তা মানছেন না। যেকারণে ঘটনাটি এখন জানাজানি হয়েছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. কবির হোসেনসহ কয়েকজন মাতব্বর ঘটনাটি মিমাংসার সালিশে অংশ নেন। এদের মধ্যে ইউপি সদস্য কবির হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন- ঘটনাটি ঘটার পর স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে সালিশ বৈঠকের মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দেওয়া হয়। এতে ছেলে-মেয়েকে বিয়ে দিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তবে মেয়েটির বয়স কম হওয়ায় এখনই বিয়ে দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। প্রাপ্ত বয়স হলে বিয়ের কাজ সম্পূর্ণ করা হবে। আর ছেলের পরিবাব বিয়ের বিষয়টি মেনে নিচ্ছে না, তথ্যটি সঠিক নয়, ছেলে ও তার পরিবার বিয়েতে রাজি আছেন।

তবে আব্বাসের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা এটাকে ষড়যন্ত্র দাবী করেন। ঘটনাটি স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করা হয়েছেও বলে দাবী করেন।

মাঝারদিয়া ইউপি চেয়ারম্যান আফছার উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি আমার জানা নেই।

সালথা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শেখ সাদিক বলেন- বিষয়‌টি আমি শু‌নে‌ছি। ঘটনাটি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে ওই ছাত্রীর পরিবার এখনও থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেনি। থানায় অ‌ভি‌যোগ দি‌লে আইনগত ব‌্যবস্থা নেওয়া হ‌বে।

১৬ জুন ২০২২

ফেসবুকে লাইক দিন

তারিখ অনুযায়ী খবর

এপ্রিল ২০২৪
শনি রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র
« মার্চ    
 
১০১১১২
১৩১৪১৫১৬১৭১৮১৯
২০২১২২২৩২৪২৫২৬
২৭২৮২৯৩০  
দুঃখিত! কপি/পেস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।