করোনা ভাইরাসের প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে কঠোর অবস্থান নিয়েছে ফরিদপুর জেলা প্রশাসন।
ফরিদপুর সদর উপজেলার কানাইপুর বাজারে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ১৫টি দোকান মালিককে নগদ ১৮ হাজার ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালতে এই জরিমানা করা হয়।
মঙ্গলবার (১৬ জুন) বিকালে উপজেলার কানাইপুর বাজারে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহ্ মোঃ সজীব এবং আনসার ও গ্রাম প্রতিরক্ষা বাহিনীর উপজেলা প্রশিক্ষক আনসার রাজিবুল ইসলামের নেতৃত্বে বাজার মনিটরিং একটি চৌকস টিম মঙ্গলবার উপজেলার আওতাধীন কানাইপুর বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে।
অভিযান চলাকালীন সময়ে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে প্রশাসনের এই চৌকস টিমের সদস্য বৃন্দ জনসাধারনকে বুঝিয়েছেন কমপক্ষে তিন ফুট পরিমাণে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে স্বাস্থ্য বিধি মোতাবেক চলাচল ও ঘরের বাইরে যেকোনো কাজে মুখে মাস্ক ব্যবহার করতে অবহিত করেন।
জানা যায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে অনেকেই দোকান ও শপিংমল খোলা রাখা হয়েছে। এসব হাট-বাজার, ব্যবসা কেন্দ্র, দোকানপাট ও শপিংমল সকাল ১০টায় খুলবে এবং বিকেল ৪টার মধ্যে বন্ধ করার কথা থাকলেও কিছু সংক্ষক ব্যবসায়িরা তাদের দোকানপাট ৪টার পরও খোলা রাখার অপরাধে ভ্রাম্যমাণ আদালতে অভিযান চালিয়ে তাদের জরিমানা করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
উপজেলা সহকারী (ভূমি) কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শাহ্ মোঃ সজীব বলেন, বিকাল ৪টার পর কীটনাশক ও ওষুধের ছাড়া যাবতীয় দোকান পাট বন্ধের নির্দেশনা রয়েছে। তারপরও কিছু ব্যবসায়ী সেটি মানছে না। সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রেখেছে। এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এ সময় সরকারি নির্দেশনা অমান্য করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার দায়ে ১৫টি দোকানের মালিকদের ১৮ হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। বিজ্ঞ ম্যাজিস্ট্রেট আরো বলেন বাইকে তিনজন ব্যক্তি চলাচল, হেলমেট বিহীন বাইক চালানো ও করোনা ভাইরাসের প্রকোপে মুখে মাস্ক না ব্যবহার করা শাস্তিযোগ্য অপরাধ। তাই অপরাধিদের বিরুদ্ধে আমাদের কার্যক্রম অব্যহত থাকবে।
কানাইপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ফকির মোঃ বেলায়েত হোসেন জানান, কানাইপুর বাজার অনেকাংশেই স্থিতিশীল। কিছু সংখ্যক দোকানি করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে সরকারি আদেশ অমান্য করেও দোকান খোলা রেখে ব্যবসা করার চেষ্টা করছে। কিন্তু ফরিদপুরের জনবান্ধব জেলা প্রশাসকের কঠোর অবস্থান ও নিয়মিত নজরদারিতে বাজার এখন একেবারেই স্থিতিশীল হবে বলে আশাবাদী। তিনি আরো বলেন, করোনার বিধি-নিষেধ অমান্য করে যেসব ব্যক্তি প্রতিষ্ঠান খোলা রাখবে, তাদের বিরুদ্ধে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে।