মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথা উপজেলা ও সদর উপজেলার শেষ সীমানা বাবুইখোলা গ্রামে ফসলি জমিসহ পরিবেশ রক্ষাকারী বন উজার করে মাটি বিক্রির হিড়িক পড়ে গেছে। এছাড়াও গ্রামের পর গ্রাম এই মাটি বিক্রি করার মতো সর্বনাশা কাজে মেতেছে অনেকে। বিক্রি হচ্ছে ফসলি জমি, এমনকি নদের পাড়ের মাটিও। এতে দিনে দিনে যেমন ফসলের জমি নষ্ট হচ্ছে, তমনি ঝুঁকিতে পড়ছে ঘর-বাড়ি। এসব থেকে রক্ষা পেতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছেন স্থানীয়রা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখে গেছে, ফরিদপুর সদর উপজেলার চাঁদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ আটঘর বাবুইখোলা এলাকায় রওশন নামে এক ব্যক্তির বাগান ভিটা কেটে মাটি বিক্রি করছেন। রওশান ওই গ্রামের মৃত মাইনুদ্দিন এর ছেলে। ওই ব্যক্তিকে টাকার লোভ দেখিয়ে একই গ্রামের কামাল আহম্মেদ মাটি কেটে নিয়ে ব্যবসা করে যাচ্ছেন।
স্থানীয়রা জানান, এভাবে অবাধে মাটি কেটে নেওয়ার কারণে যেমন ঝুঁকিতে পড়ে যাচ্ছে এলাকার ঘর-বাড়ি। তেমনি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে ফসলি জমি। সরকার কোটি কোটি টাকা খরচ করে জনগণের জন্য সড়ক নির্মাণ করে দিয়েছে। আর ট্রলি চালিয়ে কিছু ব্যবসায়ী তা নষ্ট করে ফেলছে। মাটিবোঝাই ভারি ট্রলি চলার কারণে নষ্ট হচ্ছে রাস্তা-ঘাট। ধুলোবালিতে দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। বৃষ্টি হলে রাস্তায় কাদা ও পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি বাড়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে এভাবে মাটি কেটে নেওয়ার ফলে জমির শ্রেণী পরিবর্তন হচ্ছে। কৃষি জমির শ্রেণী পরিবর্তন হয়ে নালা অথবা ডোবা জমিতে পরিণত হচ্ছে। আর বিলীন হচ্ছে গ্রামও। এভাবে অপরিকল্পিতভাবে মাটি কাটা বন্ধ করতে প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
সালথা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাহউদ্দিন আইয়ুবী গণমাধ্যমকে বলেন, বাবুইখোলা গ্রামে মাটি কাটার বিষয়ে আপনাদের কাছ থেকে জানলাম। এবিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
২২ জানু্য়ারি ২০২৩