মনির মোল্যা, সালথা (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের সালথায় দুটি যুবক দলের মধ্যে ফুটবল খেলার সামগী দেন সাবেক ইউপি সচিব নুর মোহাম্মদ তোতা মিয়া। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চর-কামদিয়া ফুটবল একাদশ ও আত্তপুরা গ্রামের যুবকদের হাতে ফুটবল এবং জার্সি প্রদান করেন তোতা মিয়া।
এসময় নুর মোহাম্মদ তোতা মিয়া যুবকদের উদ্দেশ্য করে বলেন, ক্রিড়াই শক্তি ক্রিড়াই বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। শারীরিক ও মানসিক সুস্থতায় খেলাধূলার বিকল্প নেই। আর জনপ্রিয়তায় ফুটবল এর আবেদন সবচেয়ে বেশী। যে তারুণ্যের অবসর কাটে মাঠে খেলাধূলায়, সে তারুণ্য কখনো বিপথগামী হয় না। নিজেও খেলতে ভালোবাসি। সুস্থ বিনোদনের প্রসারে ও মাদকমুক্ত শক্তিশালী যুবসমাজ গড়ার লক্ষ্যে সর্বদাই তারুণ্যের পাশে আছি।
তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু-পরিবার ক্রীড়াঙ্গনের বাতিঘর। বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমান তরুণ বয়সে ছিলেন একজন ফুটবলার। খেলেছেন ঢাকা ওয়ান্ডারার্স স্পোর্টিং ক্লাবে। তার দুই ছেলে শেখ কামাল ও শেখ জামাল ছিলেন সফল ক্রীড়াবিদ। ঢাকা আবাহনী ক্রীড়া চক্রের (বর্তমান আবাহনী লিমিটেড) প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন শেখ কামাল। তার স্ত্রী শেখ কামালের স্ত্রী সুলতানা কামাল খুকু ছিলেন দেশের খ্যাতনামা অ্যাথলেট। এমন ক্রীড়া পরিবারের মধ্যে বেড়ে ওঠা বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ক্রীড়াপ্রেমী মানুষ।
এ সময় তিনি যুবকদেরকে বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী পড়তে উদ্বুদ্ধ করত বলেন; তোমাদের সকলের বঙ্গবন্ধুর ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়া উচিত। ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ তে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান লিখেছেন “আমার আব্বাও ভাল খেলোয়াড় ছিলেন। তিনি অফিসার্স ক্লাবের সেক্রেটারি ছিলেন। আর আমি মিশন স্কুলের ক্যাপ্টেন ছিলাম। আব্বার টিম ও আমার টিম যখন খেলা হত তখন জনসাধারণ খুব উপভোগ করত। আমাদের স্কুল টিম খুব ভাল ছিল। মহকুমায় যারা ভাল খেলোয়াড় ছিল, তাদের এনে ভর্তি করতাম এবং বেতন ফ্রী করে দিতাম।”
তোতা মিয়া আরো বলেন, তোমরা কি জানো এ দেশে সর্বপ্রথম কে আধুনিক ধারার ফুটবল ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেন। হ্যাঁ, বাংলাদেশের ইতিহাসে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু-সন্তান শেখ কামালই প্রথম এ দেশে আধুনিক ধারার ক্লাব ‘আবাহনী ক্রীড়া চক্র’ প্রতিষ্ঠা করেন। শুধু ক্লাব প্রতিষ্ঠা নয় শেখ কামাল বিদেশি কোচ এনে শক্তিশালী আবাহনী দল গঠন করে ক্রীড়াঙ্গনে নতুন মাত্রা যোগ করেন। সেই আবাহনী আজও বাংলাদেশের অন্যতম সেরা ক্লাব; সেই আবাহনীর অগ্রযাত্রা আজও অব্যাহত আছে।
শোনো, বঙ্গবন্ধু পরিবারের আরেক সদস্য শেখ জামালের নামও আলো ছড়াচ্ছে ক্রীড়াঙ্গনে। তিনি প্রথমে বিভাগ ফুটবল লীগে আবাহনী ক্রীড়া চক্র ও আজাদ স্পোর্টিং ক্লাবে খেলেছেন।
তো বুঝতে পারলে বঙ্গবন্ধুর একজন আদর্শ সৈনিক হতে হলে তোমাদেরকে ক্রীড়াপ্রেমী হতে হবে। তাই তোমাদেরকে অনুরোধ করছি, সুস্থ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে খেলাধুলার প্রচার প্রসার ঘটাও। এ দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাও। যেকোনো প্রয়োজনে আমি তোমাদের পাশে থাকব ইনশাআল্লাহ।